দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকের ঘুমের সমস্যা রয়েছে। রাতের পর রাত তারা নির্ঘুম কাটান। এতে করে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কী করবেন?
খেজুর এমন একটি জিনিস যা শরীরে মেলাটোনিন হরমোন নিঃসরণে সহায়তা করে, যে কারণে রাতে ভালো ঘুম হয়। তাই মানসিক চাপে অনিদ্রাজনিত সমস্যা এড়াতে প্রতিদিন খেজুর খেতে পারেন।
এই শীতের সময় আপেল, কমলালেবু খেয়ে যদি বিরক্ত হয়ে গিয়ে থাকেন, তাহলে এবার তালিকায় রাখুন খেজুর। খেজুর খান না যারা, তারা প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ থেকে নিজেদেরকেই বঞ্চিত করছেন। হালকা খিদে পেলে এই মৌসুমে মাঝে-মধ্যেই খেতে পারেন খেজুর।
ডায়েটে কেন রাখবেন খেজুর?
# রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে খেজুর খুবই উপকারী। কাজেই যাদের রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম রয়েছে, তারা নিয়মিতভাবে খেজুর খেতে পারেন। খেজুর থেকে রক্তাল্পতার রোগীদের শারীরিক শক্তি বাড়বে।
# খেজুর শরীরে মেলাটোনিন হরমোন নিঃসরণেও সহায়তা করে, যে কারণে রাতে ভাল ঘুম হয়। তাই মানসিক চাপে অনিদ্রাজনিত সমস্যা এড়াতে হলে প্রতিদিন খেজুর খান।
# শীতের এই সময় ভাইরাল সংক্রমণ লেগে থাকে। সংক্রমণ ঠেকাতে ডায়েটে রাখতে পারেন খেজুর। আবার যাদের অ্যালার্জির ধাত রয়েছে, তারাও খেজুর খেলে বেশ উপকার পাবেন।
# চটজলদি ওজন ঝরাতে যারা জিমে যাওয়া শুরু করেছেন, তারাও ডায়েটে রাখতে পারেন খেজুর। পরিমিত মাত্রায় খেজুর খেলে ওজন আর বাড়ে না। তাই শরীরচর্চার পূর্বে চাঙ্গা হতে এবং শরীরচর্চার পর ক্লান্তি কাটাতে খেজুর খেতে পারেন।
# খেজুরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফাইবার থাকায় বদহজম এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও কম হয়। পেটের সমস্যা থাকলে নিয়মিত খেজুর রাখতে পারেন ডায়েটে।
কীভাবে খেজুর খাবেন?
আপনি ইচ্ছে করলে দিনের যে কোনও সময়ই খেজুর খেতে পারেন। তবে সকালে ভিজিয়ে রাখা খেজুর খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।