দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাবা-মায়েদের মধ্যে ঝগড়ার কারণে বাচ্চাদের ক্ষতি হয় বলে গবেষকরা প্রতিবেদন দিয়েছেন। গবেষকরা মনে করেন, পারিবারিক ঝগড়ার কারণে বাচ্চাদের মনস্ত্মাত্তিক ক্ষতি হতে পারে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, মধ্যবিত্ত পরিবারে অভিভাবকদের মধ্যে ঝগড়া তাদের টিনএজ বাচ্চাদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এর ফলে বাচ্চারা মনস্ত্ম্মাত্তিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এবং তাদের আচরণে পরিবর্তন আসে। যা তাদের সহপাঠিদের সঙ্গে স্কুলে বা খেলার মাঠে পর্যন্ত প্রকাশ পায়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পিটার্সবাগ বিশ্ববিদ্যালয় এ নিয়ে একটি গবেষণা করে গবেষকরা দেখতে পেয়েছে, বিশেষ করে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোতে অভিভাবকদের মধ্যে মনোমালিন্যের কারণে ঝগড়া বা অভিভাবকরা নিজেদের মধ্যে উচ্চ স্বরে কথা বললে বা বাচ্চাদের সঙ্গে রূঢ় আচরণ করলে তাদের আবেগে সমস্যার সৃষ্টি হয়। এ বিষয়টি শিশুদের বেড়ে ওঠার ব্যাপারে মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি করে। যার বহি:প্রকাশ ঘটে ঘরে বা বাইরে শিশুদের আচরণে। এমনকি বাচ্চারা অভিভাবকদের এধরনের আচরণের কারণে হতাশায় ভোগে। খবর দৈনিক আমাদের সময়।
যুক্তরাষ্ট্রের এক শিশু উন্নয়ন সাময়িকী এ জরিপ করে। এতে বলা হয়, অভিভাবকদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ ও সুস্থ সম্পর্ক থাকলে তাদের সন্তানের উপর নাটকীয়ভাবে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে এবং সন্তানরা সুশৃঙ্খলভাবে বেড়ে ওঠে। গবেষণায় বিজ্ঞানীরা ৯৭৬টি পরিবারের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তা বিশ্লেষণের পর দেখতে পান, অভিভাবকদের মনোমালিন্য বাচ্চাদের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনে এবং তা তাদের জন্যে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক সমস্যা সৃষ্টি করে। আচরণগত সমস্যা ছাড়াও আবেগপ্রবণভাবে টিনএজ ছেলেমেয়েরা অনেক সময় হতাশা দূর করতে মাদকাসক্ত হয়ে ওঠে। মিথ্যা কথা বলতে শুরু করে। চুরি করে বা সহপাঠীদের সঙ্গে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়ে পড়ে।
পিটাসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও গবেষক মিং টি ওয়াং এ গবেষণাটি পরিচালনা করেন। তিনি বলেন, বাচ্চাদের স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠা বা শৃঙ্খলায় অভিভাবকদের ঝগড়া বড় ধরনের ব্যাঘাত ঘটায়।
উল্লেখ্য, শুধু আচরণ নয়, বাচ্চাদের চলাফেরা, ওঠা-বসা অন্যান্য দিকেও বাবা-মাকে যত্নশীল হওয়া অত্যন্ত জরুরি। সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া পুলিশ দম্পতি মাহফুজুর রহমান ও স্বপ্ন রহমান হত্যাকাণ্ডের পর তাদের মেয়ে ঐশীর কর্মকাণ্ড সমাজে ব্যাপকভাবে আলোচনা হচ্ছে। পারিবারিক সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়।