দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এতোদিন জার্মানিতে আবর্জনার পাত্র থেকে খাদ্যযোগ্য খাবার খুঁজে বের করা অবৈধ ছিলো। তবে এবার জার্মানিতে আবর্জনায় খাবার খোঁজা বৈধ হচ্ছে।
গ্রিফসওয়াল্ডের পুলিশ অফিসাররা সালোমে কে নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেন। এরপর তার ব্যাকপ্যাক হতে একটি শুকনো লেটুস ও কয়েকটি বাদামী কলা খুঁজে পান। এগুলো হয়তো একদিন একটি জাদুঘরে প্রদর্শিত হতে পারে। সেখানে বলা হবে, এই খাবারের কারণে, জার্মানরা ২০২২ সালে আদালতে হাজির হয়েছিলেন। কারণ ডাম্পস্টার ডাইভিং অর্থাৎ আবর্জনার পাত্র থেকে খাদ্যযোগ্য খাবার খুঁজে বের করা দেশটিতে অবৈধ।
নিওলিবারেল ফ্রি ডেমোক্র্যাটসের (এফডিপি) আইনমন্ত্রী মার্কো বুশম্যান ও সেম ইওসডেমির (সবুজ) কৃষিমন্ত্রী অবশ্য এই বিষয়টি নিয়ে আইনি পথেই এগোচ্ছেন। তারা চান, সুপার মার্কেটের আবর্জনার পাত্রে ভোজ্য খাবারের সন্ধান করার জন্য কখনও যাতে কারও শাস্তি না হয়। শর্ত থাকবে যে, কোনো অনুপ্রবেশ কিংবা সম্পত্তির ক্ষতি যেনো না হয়।
ইওসডেমির বলেন, ”যে ব্যক্তি আবর্জনা থেকে খাবারের খোঁজ করেন, তার শাস্তি হওয়া মোটেও ঠিক নয়।”
ফেডারেল মন্ত্রীরা হামবুর্গ রাজ্যের প্রস্তাবটিকে সমর্থন করেছেন। এটি তথাকথিত ‘ফৌজদারি এবং প্রশাসনিক জরিমানা কার্যক্রমের’ নির্দেশিকার একটি সংশোধনী।
জার্মানির কিছু অংশে শিক্ষার্থীদের খাবারের জন্য আবর্জনা ফেলার বড়সড় পাত্রগুলোর আশপাশে ঘুরতে দেখা গিয়েছে। তারা এই উদ্যোগকে সমর্থনও জানিয়েছেন। তবে ফেডারেল অ্যাসোসিয়েশন অফ দ্য জার্মান ফুড ট্রেডের গণমাধ্যমের মুখপাত্র ক্রিস্টিয়ান ব্যোটচার এই বিষয়ে ততোটা উৎসাহী নন।
তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ”আইনি দৃষ্টিকোণ থেকে এমন পদক্ষেপের কোনো প্রয়োজনই নেই। পাবলিক প্রসিকিউটররা যদি দেখেন আবর্জনা ক্যানগুলো তালা দিয়ে সুরক্ষিত নয় কিংবা ঘিরে রাখা কোনো এলাকায় অবস্থিত নয়, তারা এই ধরনের বিচার প্রত্যাহারও করতে পারেন। দুই মন্ত্রীর দেওয়া প্রস্তাবনা তাই অপ্রয়োজনীয়।”
পরিসংখ্যান বলছে যে, জার্মানিতে মারাত্মক খাদ্য অপচয় করা হয়। যার পরিমাণ হলো বছরে প্রায় ১১০ লাখ টন। তবে খাদ্য শিল্প এই ক্ষতির ৭ শতাংশের জন্য দায়ী। তার ভাষায়, মন্ত্রীদের এই উদ্যোগটি খাবারের অপচয় কমাতে কোনোই কাজে আসবে না।
জাতিসংঘের খাদ্য বর্জ্য সূচক (২০২১) অনুসারে, পরিবারের ভিত্তিতে খাবার অপচয়ের দিক থেকে জার্মানি ইউরোপের শীর্ষস্থানীয়। এছাড়াও শুধুমাত্র চীন, ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানও প্রচুর খাবার ফেলে দেয়।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘ রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যায় যে, বিশ্বব্যাপী ৯ হাজার ৩১০ লাখ টন খাবার আসলেও আবর্জনা পাত্রে গিয়ে মেশে। এদিকে ৮০ কোটির বেশি মানুষ অপুষ্টিতে ভোগেন ও ক্ষুধার্ত থাকেন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।