দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পৃথিবীর প্রতিরক্ষা ঢাল ওজোনস্তরের ক্ষত এবার ঠিক হতে শুরু করেছে। আগামী কয়েক দশকের মধ্যে আগের অবস্থায় ফিরে আসতে পারবে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা।
সম্প্রতি এই বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০০ সাল থেকে প্রতি দশকে ৩ শতাংশ হারে ক্ষত সারতে শুরু করে ওজোনস্তরের। ২০৩০ সাল নাগাদ উত্তর গোলার্ধের অংশ এবং ২০৬০ সালের মধ্যে এন্টার্কটিকার অংশও পুনরুদ্ধার হবে।
১৯৮০ সালে প্রথম জানা যায় যে, পৃথিবীর প্রতিরক্ষা ঢাল ওজোনস্তর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১০ বছর পর এটি সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পৌঁছে যায়।
ভূ-পৃষ্ঠ হতে ৬ মাইল ওপরে পৃথিবীকে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি হতে সুরক্ষা দেওয়া এই ওজোনস্তরের অবস্থান।
আশির দশকের মাঝামাঝি সময় বিজ্ঞানীরা সিদ্ধান্ত নেন যে, ওজোনস্তর এভাবে ধ্বংস হতে থাকলে পরবর্তী কয়েক দশকের মধ্যেই এটি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। এতে করে ত্বকের ক্যান্সারের হারও বৃদ্ধি পাবে। ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হবে ও সামুদ্রিক খাদ্যশৃঙ্খল ধ্বংস হয়ে যাবে।
যে কারণে ওজোনস্তরের এই জটিল সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। সিএফসি শিল্পের বিকল্প বের করা হয়। জীবাশ্ম জ্বালানির অপচয় রোধে সাশ্রয়ী মূল্যের বিকল্পগুলোরও বর্তমানে উৎপাদন করা হচ্ছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।