দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পারিবারিক ইতিহাসেও কারও ডায়াবেটিস নেই। অথচ কোভিড থেকে সেরে ওঠার পর হঠাৎ করেই রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলো কীভাবে?
কোভিডের প্রথম দু’টি ধাক্কাতেই কাবু হন বছর ৪০-এর পরিমল বসু। দীর্ঘদি হাসপাতালে থাকতে হয়। লং কোভিডের নানাবিধ জটিলতা কাটিয়ে একটু সুস্থ বোধ করতে না করতেই হঠাৎ ধরা পড়লো, রক্তে শর্করার মাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেশি। তবে খাবার বিষয়ে যথেষ্ট সংযত তিনি, একেবারেই মিষ্টি খান না। নিয়মিতভাবে শরীরচর্চা করা, সাঁতার কাটেন পরিমলবাবু। তার পারিবারিক ইতিহাসে কারও ডায়াবেটিস নেই। রক্তের অন্যান্য সব কিছু ঠিক থাকলেও ডায়াবেটিসের আসল উৎসটা ঠিক কোথায়, তা বোঝা যাচ্ছে না। যে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা হচ্ছে, তিনিও এক প্রকার ধন্দেই রয়েছেন।
সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে, কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় অনেক গুণ বেশি। এমনকি নিয়মিত শরীরচর্চা কিংবা খাওয়া-দাওয়া নিয়ন্ত্রণ করার পরও সেটি বশে থাকে না। এই ক্ষেত্রে পারিবারিক ইতিহাসে কারও ডায়াবেটিস না থাকলেও আচমকা উদয় হতে পারে এই রোগটি।
যদিও চিকিৎসক এবং গবেষক জ়িয়াদ আল আলি বলেছেন, “এই বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলার সময় এখনও হয়নি। এই নিয়ে বিস্তর গবেষণা চালাতে হবে। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে দেখা গেছে, কোভিডের প্রথম ঢেউয়ে আক্রান্ত হওয়ার পর প্রায় ২ লক্ষ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে ওই সময় কোভিড ভাইরাসে আক্রান্ত হননি এমন বহু মানুষের পারিবারিক ইতিহাসে ডায়াবেটিসের মতো রোগের উল্লেখ থাকলেও তাদের শরীরে শর্করার কোনো চিহ্নই পাওয়া যায়নি।
আবার ডায়াবেটিস রয়েছে এমন ব্যক্তিরাও কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর, তাদের রক্তে শর্করার মাত্রাও অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।