দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমানে প্রচলিত শ্যাম্পুতে থাকে নানা রাসায়নিক। ঘন ঘন শ্যাম্পু করার কারণে চুলের হাল শোচনীয়ও হতে থাকে। তবে শ্যাম্পুর কিছু ঘরোয়া বিকল্পও রয়েছে, যেগুলো ব্যবহার করলে একইভাবে কাজ হবে।
শীতকালে দূষণের পরিমাণ এতোটাই বেশি থাকে যে, বাড়ি ফিরে চুলে শ্যাম্পু না করলে হয় না। চারপাশের ধুলো-বালি ও ধোঁয়ায় চুলের হাল ক্রমশ খারাপই হতে থাকে। তার উপর বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণও এতো বেশি থাকে যে, চুলে আঠালো ভাব চলে আসে। একদিন শ্যাম্পু করলে পরের দিনই দেখা যায় যে, চুলের অবস্থা আবারও খারাপ। বিশেষ করে যাদের মাথার ত্বক বেশ তৈলাক্ত, শ্যাম্পু করা ছাড়া তাদের আর উপায় থাকে না। তবে বর্তমানে প্রচলিত শ্যাম্পুতেও মিশে থাকে নানা রাসায়নিক উপাদান। ঘন ঘন শ্যাম্পু করার কারণে চুলের হাল আরও শোচনীয় হয়। তবে শ্যাম্পুর কিছু বিকল্প ঘরোয়া উপায়ও রয়েছে, যেগুলো ব্যবহার করলে শ্যাম্পুর মতোই সুফল পেতে পারেন।
অ্যাপল সাইডার ভিনেগার
ওজন ঝরাতে অ্যাপল সাইডার ভিনেগার বেশ কার্যকর। মেদ ঝরানোর পাশাপাশি চুল পরিষ্কার রাখতে এই ভিনেগার সাহায্য করে। এই ভিনেগারে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের মতো উপাদান। যা মাথার ত্বকের ময়লা, মৃত কোষ দূর করতেও সাহায্য করে। খুশকির সমস্যা থাকলে এই ভিনেগার দিয়ে চুলও ধুতে পারেন। এতে সুফল পাবেন।
লেবুর রস
আপনি শ্যাম্পু করতে গিয়ে দেখলেন শ্যাম্পুর বোতল ফাঁকা। তবে শ্যাম্পু না করলেও হবে না। তাহলে উপায় কী? গোসলখানা থেকে সোজা চলে যান হেঁশেলে। একটু খুঁজলেই পাতিলেবু পাবেন। শ্যাম্পুর বিকল্প হিসাবে মাথায় কিছুটা মাখুন লেবুর রস। লেবুর রস খুশকির সমস্যা দূর করতে ভীষণ উপকারী। গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে তার পরই ব্যবহার করুন। বেশ উপকার পাবেন।
অ্যালোভেরা
মিনারেলস, ভিটামিন, এনজাইম, সেলিসাইলিক অ্যাসিড-সমৃদ্ধ অ্যালোভেরা শ্যাম্পুর বিকল্প হিসাবেও ব্যবহার করতে পারেন। মাথার ত্বকে জমে থাকা তেলের র্যাশ, ব্রণর জন্ম দিতে পারে। অ্যালোভেরা এই সব কিছুর সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে। এতে থাকা অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল ও অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান চুলের যত্ন নিতে পারে। শ্যাম্পুর পরিবর্তে নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন এই অ্যালোভেরা। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।