দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্যথার চরিত্র বলা যায় এক ধরনের জটিল বিষয়। শরীরের যে কোনও জায়গায় এই অনুভূতিটি হতেই পারে। এমনকী হাতের কবজিতেও কিছু মানুষের যন্ত্রণা হতে পারে। এক্ষেত্রে ওষুধের বদলে ঘরোয়া কিছু টোটকা কাজে আসতে পারে।
যে সব কাজ করলে ব্যথা বাড়ছে, তা নিয়মিত করে গেলে আদতে সমস্যা আরও কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায়। বিশেষত, যন্ত্র ব্যবহার, টাইপিং ইত্যাদি। এক্ষেত্রে বিশ্রাম নিয়ে তারপর কাজ করুন।
খেয়াল করে দেখবেন আমাদের চেনাশোনার মধ্য়ে অধিকাংশেরই শরীরে বাসা বেঁধেছে এই ব্য়থা। সেই ক্ষেত্রে যন্ত্রণা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে না যাওয়া পর্যন্ত কারর হুশ ফেরে না। এই যেমন অনেকের হাতের কবজিতে ব্যথা হয়। তবে সেই দিকে নজরই নেই। শুধুই পেইনকিলার চলছে।
মূলত হাতের কবজি ব্যথার পিছনে থাকে কার্পেল টানেল সিনড্রোম। এটি খুবই জটিল একটি অসুখ। এক্ষেত্রে কবজির কোনও একটি নার্ভও পিষে যায়। এই সমস্যা মূলত হতে পারে বদ্যযন্ত্রের ব্যবহার বা কম্পন হয় এমন যন্ত্রের ব্যবহারের কারণেই। তবে কিবোর্ডে ঘণ্টার পর ঘণ্টা টাইপ করলেও এই অসুখ হতে পারে কিনা, তা নিয়ে অবশ্য বিতর্ক রয়েছে।
তবে এই সমস্যা একটি কিংবা দুটি হাতেও একসঙ্গে হতে পারে। প্রথমে মৃদু ব্যথা হবে। এরপর ধীরে ধীরে যন্ত্রণা আরও বাড়তে থাকে। ব্যথা তো থাকেই সেইসঙ্গে একটা অস্বস্তিকর অনুভূতি এবং দুর্বলতাও থাকে হাতের কবজিতে।
শুধুমাত্র পেইনকিলার খেয়ে এই যন্ত্রণা দূর করা যাবে না। সমস্যা সমাধানে আপনাকে কয়েকটি ঘরোয়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
ব্যথার কারণ খুঁজে বের করুন
যে সমস্ত কাজ করলে ব্যথা বাড়ছে, তা নিয়মিত করে গেলে সমস্যা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেতে পারে। বিশেষত:, যন্ত্র ব্যবহার, টাইপিং ইত্যাদি। এক্ষেত্রে বিশ্রাম নিয়ে তারপর কাজ করুন।
স্প্লিন্ট পরুন
হেলথলাইন জানিয়েছে, স্প্লিন্ট কিনতে পাওয়া যায় ওষুধের দোকানেও। এই জিনিসটি ব্যবহারে হাতের মিডিয়ান নার্ভের উপর চাপ অনেকটা কমে যাবে। তাই জিনিসটির ব্য়বহারে ব্য়থা কমতে পারে। কাজ করার সময় এটি পরুন।
ওয়ার্ম আপ
কাজ করতেই হবে। তবে তা করার পূর্বে একটু ওয়ার্ম আপ করলে মন্দ হয় না। সেক্ষেত্রে কবজির কিছু এক্সারসাইজও রয়েছে তা নিয়মিতভাবে করুন। এই ব্যায়ামগুলো নার্ভকে সুস্থ রাখে। তার উপর চাপও কমায়। এতে করে ব্যথার আশঙ্কাও কমে।
বরফ দিন
ব্যথা জায়গায় বরফও দিতে পারেন। আসলে বরফ ম্যাসাজ করলে প্রদাহ কমে যেতে পারে। এমনকী এটি দ্রুত ব্যথা দূর করতেও সক্ষম। এই ঘরোয়া চিকিৎসার কোনও বিকল্প হতে পারে না। তারপরও সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তথ্যসূত্র: এই সময়।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।