দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রতিদিনের খরচ সামলে ভবিষ্যতের সঞ্চয় ও শখপূরণ করবেন কিভাবে? অথচ টাকার অঙ্ক কিন্তু সীমিত। তাহলে কী পরিকল্পনা করে এগিয়ে যাবেন?
বর্তমান সময়ে বেড়ে চলা বাজারদর ও নিত্যদিনের খরচ সামলাতে ছোট পরিবারে দু’জনের রোজগারেও যেনো হিমশিম খেতে হয়। এরমধ্যে রয়েছে সন্তানের বায়না, লোক-লৌকিকতা মেটানোর পর ভবিষ্যতের চিন্তা ও নিজেদের শখ বলতে আর বিশেষ কিছুই থাকে না। তবে বেশির ভাগ পরিবারের হাল যেহেতু মহিলাদের কাঁধেই থাকে, তাই মাসের শেষে হাতে টান পড়লে ঘুরেফিরে শেষ পর্যন্ত বাড়ির অর্থমন্ত্রীর দ্বারস্থ হতে হয় বেশির ভাগ পুরুষকে। আগেকার আমলে যেমন নিজেদের হাতখরচ বাঁচিয়ে ঠাকুরমা-দিদিমারা শাড়ির আঁচলে বা ভাঁজে গচ্ছিত রাখতেন টাকা। প্রয়োজনে, বিপদ-আপদে চাইলেই কিন্তু পাওয়া যেতো, এখন তো তেমন কোনো সুযোগই নেই। তবে তা সত্ত্বেও সবটা করতে হবে মহিলাদেরকেই। কিন্তু কীভাবে?
মাসের খরচের হিসাব
প্রথমেই মাস শুরু হওয়ার পূর্বেই সম্ভাব্য খরচের একটা হিসাব ছকে ফেলতে হবে। সম্ভব হলে প্রতিদিনের খরচ লিখে রাখতে পারেন। মাসের শেষে মিলিয়ে দেখুন ওই পরিকল্পনা অনুযায়ী সব খরচ হচ্ছে কি না, না কি তা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এই অভ্যাস মোট খরচের থেকে ১৫ শতাংশ বাঁচিয়েও দিতে পারে।
পৃথক খরচের জন্য পৃথক অ্যাকাউন্ট
কোন খাতে কতো খরচ হবে, তা হিসাব করে এক জায়গাতে নয়, পৃথক করে রাখুন। এক জায়গা রেখে দিলে খরচের সময় খেয়াল না-ও থাকতে পারে। যখনই হাতে বেশি টাকা আসবে, প্রতিটি খাতে সমানভাবে ভাগ করে রাখতে পারেন। সেখান থেকে খরচ হয়ে গেলে সময় মতো তা পূরণও করে ফেলতে হবে।
জমানোর চেয়েও লগ্নি করা ভালো
অনেকেই মনে করেন যে, খরচ না করে বিছানার তলায় থরে থরে টাকা জমিয়ে রাখলে বোধহয় লক্ষ্যপূরণ হয়ে যাবে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে টাকা জমানের চেয়ে কোনও প্রকল্পে লগ্নি করায় ভালো। এই অভ্যাসে টাকার বাজারদর ও চাহিদা সবটাই বুঝতে পারা যাবে।
জরুরিকালীন ব্যবস্থা গ্রহণ
বিপদ তো আর বলে কয়ে আসে না। বাড়িতে বয়স্ক কিংবা বাচ্চা থাকলে এমন কোনও পরিস্থিতি যে কোনো সময় হতেই পারে। তাই আগে থেকেই সেই বাবদ খরচের আলাদা একটি অ্যাকাউন্ট রাখতে হবে।
ভবিষ্যতের সঞ্চয়
যতো কম বয়স থেকে ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করে ফেলতে পারবেন- ততোই কিন্তু ভালো। পরিবারের দায়িত্ব নেওয়া থেকে শুরু করে বুড়ো বয়সে বিশ্ব ভ্রমণ, সবটাই ভেবে রাখা উচিত। তাছাড়া সঞ্চয় ভবিষ্যতের জন্য কাজে আসে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।