দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণত মহিলাদের ক্ষেত্রে মা হওয়ার পর থেকে যেনো আর সময়ই নেই। বাড়ির কাজ তো রয়েছেই, সেইসঙ্গে কর্মক্ষেত্রের নানা উদ্বেগও। এতোকিছু সামাল দিতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে।
মা হওয়া কিন্তু মুখের কথা নয়। আনন্দের সঙ্গে থাকে সন্তানকে বড় করার এক রাশ দায়িত্বও। সেইসঙ্গে পরিবার ও কর্মক্ষেত্র কোনওটিই বাদ দেওয়া যায় না। তবে এর মধ্যে নিজের জন্য সময় বের করে না নিতে পারলেই মুশকিল। যার কাঁধে থাকে গোটা বিশ্বের ভার, তার যদি শারীরিক কিংবা মানসিক কোনও সমস্যা হয়, তার দায়িত্ব কে নেবে? মনোবিদদের ধারণা মতে, এখন সব মায়েরাই কমবেশি কাজ করেন। তবে সব কিছু একসঙ্গে সামাল দিতে গিয়ে অনেক সময় হিমশিম খেয়ে ওঠেন তারা। সব কিছুর মধ্যে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলে মায়েদের পথচলা অনেকটাই মসৃণ হবে।
কয়েকটি উপায়ে ঘরে-বাইরে তাল মিলিয়ে চলতে পারবেন কর্মব্যস্ত মায়েরা?
অতিরিক্ত কোনো প্রত্যাশা নয়
আপনি দশ হাতে দশ দিক সামলাবেন, এমনটি ভেবে নেওয়ার কোনও মানেই হয় না। এতে করে নিজের চাপ আরও বাড়ে। কাজ থেকে ফেরার পর বাড়িতে অতিথি আসবে বলে পঞ্জব্যঞ্জন রান্না করে হয়তো সকলকেই আপনি তাক লাগিয়েও দিতে পারেন। তবে তার পরের শারীরিক কষ্টে আপনাকে ভুগতে হবে। এরপর রয়েছে বাচ্চার দায়িত্ব। সুতরাং নিজেকে দশভূজা না বানালেই ভালো হয়।
নিজের যত্ন ভুললে চলবে না
পরিবারের সকলের খেয়াল রাখা যেমন আমাদের দায়িত্ব, তারমধ্যে নিজের যত্ন নেওয়ার কথা কেও আপনাকে মনে করিয়েও দেবে না। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে শরীরচর্চা, ত্বকের যত্ন, পর্যাপ্ত ঘুম- এই সবগুলোর প্রয়োজনও রয়েছে। মায়ের দায়িত্ব পালন করার সঙ্গেসঙ্গে, সারাদিনের মধ্যে ঘণ্টা দুয়েক নিজের জন্য সময় বের করে নিতে হবে।
নিজের বিকল্প তৈরি করতে হবে
বাড়িতেই হোক কিংবা কাজের জায়গাতেই হোক, আপনাকে ছাড়া কাজ চলবে না এমন পরিস্থিতি কখনও আসতে দেবেন না। কর্মক্ষেত্রে কারও সাহায্য চাইতে কখনও কুণ্ঠাবোধ করবেন না। ছোট পরিবারে বাচ্চাকে বড় করে তোলার জন্য তেমন কেও না-ও থাকতে পারেন। সেই ক্ষেত্রে শিশুর বাবাকেও ঘরের কিছু কাজে অবশ্যই পারদর্শী হতে হবে।
প্রয়োজনে ‘না’ বলতে পারেন
মা হওয়ার অর্থই সব পরিস্থিতির জন্য নিজেকে প্রস্তুত থাকতে হবে, এমনটি ভাবার কোনওই কারণ নেই। কর্মক্ষেত্রে ও বাড়িতে, দুই জায়গাতেই ভারসাম্য রেখে চলতে গেলে কিছু কিছু বিষয়ে ‘না’ বলতে পারাটা জরুরি।
নিজের শখ পূরণ
একজন মানুষ হিসেবে পরিবারের সব দায়িত্ব পালন করার পর, নিজের শখ পূরণ করাটাও একটি জরুরি বিষয়। অনেক নারী সময়ের অভাবে নাচ, গান, আঁকা, আবৃত্তি, গল্পের বই পড়ার মতো ছোট ছোট শখগুলো একেবারেই বিসর্জন দেন। তবে মা হিসাবে সব দিক সামাল দিতে গেলে মানসিকভাবে সুস্থ থাকাও জরুরি একটি বিষয়- সেটি আমাদের মাথায় রাখতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।