দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শেষ বসন্তের মিষ্টি বাতাসে আমের মুকুলের ঘ্রাণে গ্রীষ্ম আমাদের দিচ্ছে তার আগমনী বার্তা। আর তাই গ্রীষ্মের গরমের পূর্বেই সঠিক যত্নে প্রস্তুত রাখুন এসি।
গ্রীষ্মের দিন যতোই এগোচ্ছে, তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেড়ে চলেছে তাপমাত্রা, সঙ্গে বাড়ছে অস্বস্তিদায়ক আর্দ্রতা। আর গরমে প্রয়োজনে হবে এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহারের। শীতের ঠাণ্ডা শেষে সবাই যেমন শীতের কাপড় তুলে রাখার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, একইসঙ্গে এমন সময় প্রয়োজন গ্রীষ্মের অন্যতম প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ এসিকে শীতকালের লম্বা বিরতির পর গ্রীষ্মের দাবদাহে শীতল বাতাসের জন্য প্রস্তুত করে তোলা।
নিচের সহজ কিছু ধাপ অনুসরণ করে খুব সহজেই প্রস্তুত করে তুলতে পারেন আপনার গ্রীষ্মকালীন বন্ধুকে। এয়ার ফিল্টার খুলে পরিষ্কার করুন সঠিক বায়ুপ্রবাহ বজায় রেখে পরিষ্কার বাতাস নিশ্চিত করে এয়ার ফিল্টারটি। তাই, নিয়মিত ভিত্তিতে এয়ার ফিল্টার পরীক্ষা করা আবশ্যক। সহজেই আপনি এ কাজটি করতে পারেন। এয়ার ফিল্টারটি খুলে ফেলে পাতলা কাপড়, নরম ব্রাশ কিংবা ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে এয়ার ফিল্টার পরিষ্কার করুন।
তারপর, মৃদু গরম পানি এবং অল্প সাবান দিয়ে এয়ার ফিল্টারটি ধুয়ে ফেলুন। তারপর, এয়ার ফিল্টারটি আবার জায়গামতো লাগানোর আগে নিশ্চিত হয়ে নিন, এটি পুরোপুরি শুকনা অবস্থায় রয়েছে। সিস্টেমের কার্যকারিতা নিশ্চিতে কয়েল পরিষ্কার করবেন যেভাবে বেশিরভাগ এয়ার কন্ডিশনারে দু’টি কয়েল থাকে – এভাপোরেটর কয়েল ও কনডেন্সার কয়েল।
এভাপোরেটের কয়েল ভেতরের দিকে এয়ার হ্যান্ডলারের কাছে থাকে; কনডেন্সার কয়েল কনডেন্সারের (মেটালের বড় আউটডোর ইউনিট) ভেতরে থাকে। কয়েল পরিষ্কার করার জন্য নরম ব্রাশ বা কাপড় ব্যবহার করতে হবে। নরম ব্রাশ কিংবা কাপড় নিয়ে ময়লা মুছে ফেলার যদি কয়েলে ধুলা বা ময়লা জমে থাকে তবে অবশিষ্ট ময়লা পরিষ্কারের জন্য সাবান-পানির স্প্রে ব্যবহার করুন। সঠিক উপায়ে কয়েল পরিষ্কার করলে তা সিস্টেমের কার্যকারিতা নিশ্চিতে ভূমিকা পালন করবে ও এসি ঠিক করার জন্য কিছুদিন পর পর টেকশিয়ান ডাকতে হবে না এবং অর্থেরও সাশ্রয় হবে।
বছরে অন্তত একবার পেশাদার টেকনিশিয়ান দিয়ে এসি চেক করান ব্যবহারকারীর নিজের পক্ষেই সহজে নিয়মিত এসির যত্ন নেওয়া সম্ভব। পাশাপাশি, এসির দীর্ঘস্থায়ীত্ব ও সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিতে প্রতি বছরে অন্তত একবার পেশাদার টেকনিশিয়ান দ্বারা এসির সবকিছু পুঙ্খানুপুঙ্খ চেক করিয়ে নেয়া উচিত। এর পাশাপাশি, এসি কেনার ক্ষেত্রে দেখেশুনে ভালো মানের ও বিশ্বস্ত ব্র্যান্ডের এসি কেনাও গুরুত্বপূর্ণ।
নির্ভরযোগ্য সেবা, দীর্ঘস্থায়িত্ব এবং সুশীতল বাতাসের জন্য বাজারে বিভিন্ন কার্যক্ষমতার বিবিধ পরিসরের এয়ার কন্ডিশনার পাওয়া যায়। গ্রাহক চাহিদা মেটাতে জনপ্রিয় ব্র্যান্ডগুলোও প্রতিনিয়ত বাজারে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং ফিচার সমৃদ্ধ এসি নিয়ে আসছে। সাধারণত, আকার এবং পারফরমেন্সের ওপর নির্ভর করে এসির বাজার যাচাই করেন ক্রেতারা। এক্ষেত্রে, ক্রেতাদের পছন্দের ফিচারের মধ্যে রয়েছে: ফাস্টার কুলিং, জ্বালানি সাশ্রয়ী ও বাতাশ পরিশোধন করার ক্ষমতাসম্পন্ন এয়ার কন্ডিশনার।
এসির উদ্ভাবনী ফিচার এবং পারফরমেন্সের বিচারে উদাহরণ হিসেবে বলা যায় বৈশ্বিকভাবেই জনপ্রিয় ব্র্যান্ড স্যামসাং -এর কথা। এসির বিভিন্ন প্যারামিটারে সেরা পারফরমেন্স এবং দীর্ঘস্থায়ী সেবা নিশ্চিত করে আসছে স্যামসাং। বাসা বা অফিস, সবজায়গাতেই সর্বোচ্চ মানের সেবা দিবে স্যামসাং এয়ার কন্ডিশনার। স্যামসাং -এর মতো একটি বিশ্বস্ত ব্র্যান্ডের এসি নিয়মিত যত্নে বহুদিন যেমন সেবা প্রদান করে, একইসঙ্গে ক্রেতাদের অর্থও সাশ্রয় করবে সেরা পারফরমেন্স নিশ্চিত করার মাধ্যমে।
বসন্ত শেষ হয়ে আসছে– আর এই সময়, সামনের গ্রীষ্মের গরম মোকাবিলা করার জন্যই নিতে হবে এসির সঠিক যত্ন। তাই, আর দেরি না করে গ্রীষ্মের দাবদাহে শীতল হাওয়ার পরশ পেতে প্রস্তুত রাখুন আপনার এসি। খবর প্রেস বিজ্ঞপ্তির।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।