দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মানুষের জীবনে আবেগও কখনও কখনও প্রাণঘাতি হিসেবে কাজ করে। গবেষকরা এমন খবরই দিয়েছেন। তারা বলেছেন, আবেগের কারণে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
গবেষকরা বলেছেন, কখনো আবেগকে চাপা দেবেন না। এর ফলে আপনার ক্যান্সার হবার ঝুঁকি ৭০ ভাগ পর্যন্ত বেড়ে যায়। অর্থাৎ আবেগকে অবদমন করলে তা আপনার প্রাণঘাতি হয়ে উঠতে পারে। গবেষকরা বলছেন, আবেগ চাপা দিলে ক্ষতি সম্পর্কে আগের ধারণার চেয়ে তা আরো অনেক বেশি মারাত্মক বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়া রেগে গেলে মস্তিষ্কের বামদিকে রক্ত চলাচল দ্রুত হয়ে যায়। যা সত্যিকারের আবেগের বহি:প্রকাশ। জার্নাল অব ফিজিকোসোমেটিক রিসার্চে এ খবর বেরিয়েছে।
এতে গবেষকরা বলছেন, আগে তাদের ধারণা ছিল আবেগ অবদমন করলে তা স্বাস্থ্যের জন্যে ক্ষতিকারক। কিন্তু এখন গবেষণায় দেখা যাচ্ছে তা বরং প্রাণঘাতি। অন্তত ৩ জনের মধ্যে ১জন আবেগ অবদমনের কারণে দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা পর্যন্ত যেতে পারেন। এমনকি অপ্রাপ্ত বয়স্কদের মৃত্যুহার আবেগ অবদমনের ফলে ৩৫ ভাগ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। বিশেষ করে আবেগ চেপে রাখলে ক্যান্সারের ৭০ ও হৃদরোগের ঝুঁকি ৪৭ পর্যন্ত বেড়ে যায়। গবেষণায় ৭৯৬ জন নারী ও পুরুষের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তা পর্যালোচনা করা হয় যাদের গড় বয়স ৪৪ বছর। ১২ বছর পর ফের এসব নারী পুরুষের খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, এদের ১১১ জন মারা গেছে যাদের অধিকাংশই ক্যান্সারে বা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন।
আগের বার গবেষণায় তাদের অনেকেই বলেছিলেন, রেগে গেলে চুপ করে থাকি যাতে অন্যকেও বিরক্ত না হয়। কেও বলেছিলেন, রেগে গেলে চেচামেচি করি যাতে আমার ক্ষোভ উপশম হয়। কিন্তু ১ যুগ পর খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে যারা আবেগ চেপে রাখতেন তাদের মৃত্যু হার যারা তা রাখতেন না তাদের চেয়ে বেশি। এমনকি আবেগ চেপে রাখতে যেয়ে অনেকে ধূমপান, জাঙ্ক ফুড ও মদ্যপানে আসক্ত হয়ে পড়েন। আবেগ অবদমনে শরীরে হরমোনোর তারতম্য ঘটে। দেহের কোষের মারাত্মক ক্ষতি হয়। মনকে আরো বিমর্ষ করে তোলে, হতাশা ও অবসাদ এসে গ্রাস করে। তাই গবেষকরা আবেগ কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন এবং সেই সাথে আবেগতাড়িত হয় এমন কাজ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।