দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে লাভজনক খাতই হলো পর্যটন খাত। তাই একে বলা হয় অদৃশ্য অর্থনৈতিক শক্তি। অনেক উন্নয়নশীল দেশের আয়ের খাতগুলোর মধ্যে অন্যতম এই পর্যটন।
এই পর্যটনের গুরুত্ব বিবেচনা করে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার পর্যটক বাড়াতে সম্প্রতি বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, হংকং, তাইওয়ানসহ বিশ্বের ২২টি দেশের মানুষ শুধুমাত্র ইলেকট্রনিক ট্রাভেল পারমিট সিস্টেমের মাধ্যমে ভিসা ছাড়া দক্ষিণ কোরিয়াতে ভ্রমণ করতে পারবেন। অপরদিকে ট্রানজিট ভিসা চালু করা হবে ৩৪টি দেশের যাত্রীদের জন্য, যেখানে ভ্রমণকারীরা পরপর এক মাস কোরিয়ায় থাকতেও পারবেন।
সম্প্রতি রাজধানী সিউলের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে এক অর্থনৈতিক সভায় সভাপতিত্বকালে পর্যটকদের উৎসাহিত করতে ও পর্যটন শহরগুলোকে উৎসাহিত করতে প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইয়োল এই ঘোষণা দিয়েছেন।
দেশটির অর্থমন্ত্রী চু কিয়ং-হো বলেছেন, ‘আমরা ভ্রমণে প্রণোদনা দেবো। পর্যটন খাতের উন্নয়ন ও পর্যটকদের জন্য ভ্রমণ সুবিধা বাড়ানোর প্রচেষ্টা আমাদের অব্যাহত থাকবে। সারাদেশে ১৩০টিরও বেশি আঞ্চলিক উৎসব হবে।’
স্থানীয় উৎসব সম্পর্কিত কুপন সরবরাহ করা হবে ও সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিনামূল্যে প্রবেশ এবং সুযোগ-সুবিধাও প্রসারিত করা হবে। এছাড়াও ভ্রমণমুখী পরিবেশ তৈরিতে এপ্রিল এবং জুলাই মাসে সরকারি কর্মকর্তাদের বার্ষিক ছুটির মেয়াদ বাড়াবে দক্ষিণ কোরিয়ার কর্তৃপক্ষ।
কে-পপ, কেনাকাটা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও সম্প্রসারিত করা হবে বলে কর্মকর্তারা জানান। দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল বলেছেন, ‘আমাদের লক্ষ্য কোরিয়ার বিভিন্ন সংস্কৃতি ও পর্যটকদের সংযুক্ত করা।’
দক্ষিণ কোরিয়া এই বছর এক কোটিরও বেশি পর্যটক আকৃষ্ট করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। গত বছর ছিল মাত্র ৩০ লাখ। কে-ইটিএ পদ্ধতিতে চীন এবং ফরাসি ভাষার মতো বিদেশী ভাষার পরিষেবাগুলো যুক্ত করা হবে ও বৈধতার মেয়াদ বর্তমান ২ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩ বছর করা হবে।
জেজু দ্বীপ দিয়ে ট্রানজিট করার সময় চীন থেকে আসা পর্যটকরা অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর কিংবা সিউল মেট্রোপলিটন এলাকায় ৫ দিন পর্যন্ত থাকতে পারবেন। চীন, জাপান এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের সংখ্যা সক্রিয়ভাবে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে দেশটির সরকার।
দেশটির সরকার সেপ্টেম্বরের মধ্যে চীন থেকে প্রতি সপ্তাহে ৬৩টি ফ্লাইট থেকে তা বাড়িয়ে ৯৫৪টি ফ্লাইট ও জাপানের জন্য বর্তমান ৮৬৩টি ফ্লাইট থেকে তা বাড়িয়ে প্রতি সপ্তাহে ১ হাজার ৪টি ফ্লাইটে উন্নীত করবে। মে থেকে অক্টোবর পর্যন্ত দেশজুড়ে বেশ কয়েকটি বড় কে-পপ কনসার্টও অনুষ্ঠিত হবে। যার মধ্যে রয়েছে এপ্রিলে অনুষ্ঠেয় সিউল ফেস্তা ২০২৩ ও মে মাসে দেশটির বন্দর নগরী বুসানে একটি কনসার্টের আয়োজন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।