দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ টেলিভিশনের লাইভ অনুষ্ঠানে থাকার সময়ই ভারতের সাবেক একজন রাজ্যসভার সদস্য ও তার ভাইকে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। অপহরণের একটি মামলায় তিনি পূর্বে সাজাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন।
হত্যা ও হামলার একটি মামলায় বৃহস্পতিবার গ্রেফতারের পর আতিক আহমেদ নামে সাবেক ওই বিধায়ককে শনিবার রাতে শারীরিক পরীক্ষার জন্য পুলিশ নিয়ে যাচ্ছিল।
বিবিসির খবরে বলা হয়, রাত সাড়ে ১০টার দিকে মেডিকেল কলেজের কাছে দাঁড়িয়ে তিনি যখন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন, ঠিক তখন খুব কাছ থেকে পিস্তল বের করে তার মাথা লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। সেই সময় পাশে দাঁড়ানো তার ভাই আশরাফকেও গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। যারা গুলি করেন, তারা ওই সময় সাংবাদিকের ছদ্মবেশে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, গুলি করার পরপরই তিন ব্যক্তি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। তাদের পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, আতিক আহমেদ ও তার ভাই আশরাফ পুলিশি হেফাজতে থাকা অবস্থায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। ওই সময় তাদের শারীরিক পরীক্ষা করানোর জন্যই কাছাকাছি একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেই সময় তাদের দুজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
কিছুদিন পূর্ব থেকেই আতিক আহমেদ দাবি করে আসছিলেন যে, পুলিশের কারণেই তার জীবন হুমকিতে রয়েছে। কয়েকদিন পূর্বে আতিক আহমেদের অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলে আসাদ পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। একটি হত্যা মামলায় আসাদ ও আরেকজন ব্যক্তি পলাতক ছিলেন। এই সপ্তাহের শুরুর দিকেই পুলিশের গুলিতে দুজন নিহত হয়, যাকে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ বলে পুলিশ বর্ণনা করে।
লাইভ ভিডিওতে দেখা যায়, সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, ছেলের শেষকৃত্যানুষ্ঠানে তিনি গিয়েছিলেন কি-না?
ক্যামেরার সামনে তার সর্বশেষ বক্তব্যই ছিল, ‘তারা আমাদেরকে নিয়ে যায়নি, সুতরাং আমরা যেতেও পারিনি।’ ঠিক সেই সময় সাংবাদিক সেজে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তিরা তার মাথা লক্ষ্য করে পিস্তল দিয়ে গুলি করে। তারপর পাশে দাঁড়ানো তার ভাইকেও গুলি করে হত্যা করা হয়। গুলিতে একজন পুলিশ সদস্য ও একজন সাংবাদিকও আহত হন।
উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজের সাবেক বিধায়ক (রাজ্যসভার সদস্য) আতিক আহমেদ ও তার ভাইকে হত্যা এবং হামলার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। অপহরণের একটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পর ২০১৯ সাল হতে তিনি কারাগারেই ছিলেন। পুলিশের তরফ হতেই তার জীবন হুমকির মধ্যে রয়েছে, এরকম একটি শুনানির আবেদন গত মাসে নাকচ করে দেয় ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।
উল্লেখ্য, বর্তমানে উত্তর প্রদেশের ক্ষমতায় রয়েছে ভারতের হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল বিজেপি। বিরোধী দলগুলো সরকারের সমালোচনা করে বলছে যে, নিরাপত্তা ব্যবস্থার গাফিলতিতেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। গত ৬ বছরে উত্তর প্রদেশে বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত ১৮০ জনের বেশি ব্যক্তি পুলিশের গুলিতে নিহত হয়।
এদিকে বিরোধীরা বলছে যে, পুরো প্রদেশ জুড়ে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন যে, পুলিশ বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও উত্তর প্রদেশের সরকার সেই অভিযোগ পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করেছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।