দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গরমের দাপটে যেনো চোখে অন্ধকার দেখছেন। বাইরে বের হলেই একদম পুড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই তীব্র মাথা ব্যথায় ভুগেন। কয়েকটি ঘরোয়া টোটকায় রেহাই পেতে পারেন এমন সমস্যা হতে।
রোদ ও গরমে যা তা অবস্থা। ঘরের বাইরে সামান্য পা রাখলেই ঘেমে নেয়ে একেবারে গোসল হওয়ার মতো অবস্থা। উচ্চ তাপমাত্রার দোসর হয়েছে অত্যাধিক আর্দ্রতা। যে কারণে দরদরিয়ে ঘামছেন সকলেই।
এমন গলদঘর্ম পরিস্থিতিতে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় নিপতিত হচ্ছেন। কারও হিট স্ট্রোক হচ্ছে আবার কারও হচ্ছে হিট এক্সহউশন। তবে এমন তপ্ত আবহাওয়ায় অনেকেই মাথা ব্যথায় আক্রান্ত হচ্ছেন। তারা বাইরে বের হলেই মাথা ব্যথায় কাবু হয়ে পড়েন।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এদের রয়েছে হিট হেডেক কিংবা সামার হেডেক। অর্থাৎ এমন এক বিশেষ ধরনের মাইগ্রেন যা গরমের কারণে শুরু হয়ে থাকে। গরমই হলো এই ধরনের মাথা ব্যথার ট্রিগার। এদের গরম বাড়লেই প্রচণ্ড মাথা ব্যথা শুরু হয়।
এমন পরিস্থিতির শিকার হলে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। তাই এই সমস্যার আশু সমাধান দরকার।
এর কী কী লক্ষণ থাকে?
এই সমস্যার প্রধান উপসর্গই হলো মাথা ব্যথা। প্রচণ্ড মাথা যন্ত্রণা হয়ে থাকে। মাথার মধ্যে কেও যেনো হাতুরি পেটাচ্ছে, ছুরি চালাচ্ছে এমনটা মনে হয়। মাথার সামনে, পিছনে কিংবা একপাশে এই ব্যথাটা হয়ে থাকে। যন্ত্রণা শুরু হলে তখন অসহ্য লাগে। কিছুতেই যেনো নিস্তার পাওয়া যায় না।
সেইসঙ্গে রোগীর বমি বমি ভাবও থাকতে পারে। অনেকের তো বমিও হয়ে যায়। সেইসঙ্গে থাকে ক্লান্তি, অবসন্নভাবও। তাই এমন লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
কেনো এমন হয়?
এটি হয় অত্যধিক গরমে। বিশেষত: আমাদের মতো গ্রীষ্ম প্রধান দেশে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কয়েকগুণ বেশি থাকে। সাধারণত সূর্য রশ্মি সরাসরি মাথায় কিংবা চোখে পড়লে ব্যথা হয়। এছাড়াও অনেকের গরমে শরীরে পানির ঘাটতি হলেও মাইগ্রেন হতে পারে। এমনকী হিট এক্সহউশন কিংবা হিট ক্র্যাম্পে আক্রান্ত হলেও এই সমস্যায় ভুগতে পারেন অনেকেই। তাই গ্রীষ্মের দহনদিনে সাবধান থাকা ছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই।
এই সমস্যা মুক্তির প্রাকৃতিক উপায়
এই ধরনের সমস্যা শুরু হলেই ওষুধ খাওয়া ছাড়াও ঘরোয়া উপায়ে ব্যথা কমাতে পারেন যেভাবে:
# হেলথলাইন জানিয়েছে, ব্যথা কমাতে মাথায় ল্যাভেন্ডার কিংবা পিপারমিন্ট এসেনশিয়াল তেল মাখতে পারেন।
# ব্যথা শুরু হলে মাথায় বরফ দিতে পারেন। মাথায় সরাসরি বরফ দেওয়ার বদলে আইস প্যাকও দিতে পারেন।
# বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের ভেষজ চা পাওয়া যায়, সেইসব চা খান। মাথা ব্যথা সেরে যেতে পারে।
বাইরে বের হলেই সাবধান
গরম পড়লেও কাজের তাগিদে বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হয়। এই পরিস্থিতিতে ঘরের বাইরে পা দেওয়ার পূর্বে এই নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে:
# ছাতা ব্যবহার করুন।
# সানগ্লাস চোখে রাখুন।
# ত্বকে লাগান সানস্ক্রিন।
# প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।
এই কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে পারলে গরমে মাথা ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এছাড়াও এর থেকে বেশি কোনো সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তথ্যসূত্র: এই সময়।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।