দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজ বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বাজেটের সম্ভাব্য আকার হবে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা।
বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ কোটি টাকা। যেখানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা হতে চলেছে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা।
আইএমএফের শর্ত পূরণ এবং জনস্বার্থে বা দেশীয় শিল্প সুরক্ষায় আগামী ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের বাজেটে বিভিন্ন ধরনের পণ্যে শুল্ক এবং কর আরোপ বা ছাড়ের প্রস্তাবনাও আসতে পারে। এইসব কারণে সার্বিকভাবে অনেক পণ্যের দাম বাড়তেও পারে। তবে কিছু পণ্যের দাম আবার কমতেও পারে।
কমতে পারে যেসব পণ্যের দাম
মাংস, দেশীয় বৈদ্যুতিক এলইডি বাল্ব এবং সুইস-সকেট, দেশে তৈরি মোবাইল, মিষ্টি জাতীয় পণ্য, অভিজাত বিদেশী পোশাক, ই-কমার্সের ডেলিভারি চার্জ, এছাড়াও বাজেটে শুল্ক ছাড়ের কারণে কমতে পারে স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত কৃষি যন্ত্রপাতি এবং যন্ত্রপাতি তৈরির সরঞ্জামের দাম।
যেসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে
সিগারেট, তামাকজাত পণ্য, মদ, দামি গাড়ি, নির্মাণ সামগ্রী, সিমেন্ট, রড, মোজাইক, পাথর প্লেট, ভূমি এবং ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশন, বাসমতি চাল, কাজুবাদাম, বিদেশী প্রসাধন সামগ্রি, এলএনজি, বিদেশি বার্থরুম (প্রক্ষালন কক্ষ) ফিটিংস, গৃহস্থালী সামগ্রীর ক্ষেত্রে বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত প্লাস্টিকের তৈরি সব ধরনের টেবিলওয়্যার, কিচেনওয়্যার, গৃহস্থালি সামগ্রী এবং তৈজসপত্রের (হাঁড়িপাতিল, থালাবাসন প্রভৃতি) ভ্যাট বাড়ানো হবে। বাড়ছে মাইক্রো ওভেন, বিদেশি তৈরি দামি সব মোবাইল সেটের, কিচেন টাওয়াল, ন্যাপকিন টিস্যু, টয়লেট টিসু, ফেসিয়াল টিস্যু/পকেট টিস্যু এবং পেপার টাওয়াল উৎপাদনে ৫ শতাংশ ভ্যাট রয়েছে, এটি বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ করা হচ্ছে। এতে টিসু পেপারের দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও বাজেট পেশের আগেই বাজার উত্তপ্ত হতে শুরু করে দিয়েছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।