দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও কিডনি বিকল হওয়ার পারিবারিক ইতিহাস থাকলে প্রতি বছর কিডনির কার্যকারিতা পরীক্ষা করিয়ে নেওয়াটা জরুরি। তবে তার পূর্বে শারীরিক কিছু লক্ষণ দেখলেও অনেক সময় বুঝতে পারা যায়, কিডনি স্বাভাবিকভাবে কাজ করছে কি না।
অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া কিংবা ক্রমাগত রাত জাগা ও পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি না খাওয়ার কারণে ক্ষতি হতে পারে কিডনির। যেহেতু মানব শরীরে কিডনির সংখ্যা দু’টি, তাই একটি বিকল হলেও কাজ চলতে পারে অন্যটি দিয়েও। যে কারণে কিডনিতে পাথর জমা ছাড়া অন্য আর কোনও ক্ষতির আঁচ পাওয়া যায় না বাইরে হতে। সময় থাকতে কিডনির সমস্যা ধরা না পড়লে সেরে ওঠার সম্ভাবনাও তখন কমতে থাকে। এই ক্ষেত্রে বয়স অবশ্যই বড় একটি সমস্যা। সঙ্গে যদি উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও কিডনি বিকল হওয়ার পারিবারিক ইতিহাস থাকে তাহলে প্রতি বছর কিডনির কার্যকারিতা পরীক্ষা করিয়ে নেওয়াটা জরুরি। এছাড়াও শরীরের এমন কিছু লক্ষণও রয়েছে যা কিডনির স্বাস্থ্য কেমন রয়েছে, সে সম্পর্কে ইঙ্গিতও দিতে পারে। আজ জেনে নিন সেই সব লক্ষণগুলো সম্পর্কে।
ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া
কিডনি সুস্থ না থাকলে তার একটা প্রভাব ফুটে ওঠে ত্বকে। শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করার পাশাপাশি রক্তে পর্যাপ্ত পরিমাণে লোহিত কণিকা উৎপাদন করা ও বিভিন্ন খনিজের ভারসাম্য বজায় রাখা, হাড়ের স্বাস্থ্য- সবই নির্ভর করে এই কিডনির উপর। রক্তে বিভিন্ন উপাদান সঠিক মাত্রায় না থাকলে তখন ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে।
প্রস্রাবের বেগ পাওয়া
খুব বেশি পানি না খেলেও বার বার প্রস্রাবের বেগ আসা কিডনি বিকল হওয়ার একটি লক্ষণও হতে পারে। পুরুষদের ক্ষেত্রে এই লক্ষণ কখনও কখনও প্রস্টেটের সমস্যায়ও হয়ে থাকে।
চোখ ফোলা ভাব
পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমোনোর পরেও যদি চোখের তলায় ফোলা ভাব না কমে, তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে কিডনির কার্যকারিতার ক্ষেত্রে হয়তো কোনও সমস্যা হচ্ছে। রক্ত থেকে পুষ্টিকর পদার্থ ছেঁকে দূষিত পদার্থ বের করতে পারছে না কিডনি। যে কারণে রক্তের মধ্যে থাকা প্রোটিন তখন মিশে যাচ্ছে মূত্রের মধ্যে। যার ফলস্বরূপ চোখের চারপাশে এই ধরনের ফোলা ভাব দেখা দিতেই পারে।
পা ফোলা
পা ঝুলিয়ে বসে থাকলে অনেক সময় পায়ের পাতা ফুলে যেতে পারে। কখনও শরীরে ফ্লুইডের পরিমাণ যদি বেড়ে যায়, সেই ক্ষেত্রে এমন সমস্যা দেখা দিতে পারে। শুধু কিডনি বিকল হলেই যে পায়ের পাতা ফুলে যেতে পারে- তা কিন্তু নয়। হার্টের সমস্যা থেকেও অনেক সময় পা ফুলতে পারে।
খিদে চলে যাওয়া
কিডনি ঠিকভাবে কাজ না করলে খাওয়ার ইচ্ছেও চলে যেতে পারে। কিডনি স্বাভাবিকভাবে কাজ না করলে শরীরে ‘টক্সিন’-এর পরিমাণ তখন বেড়ে যায়। যে কারণে খাওয়ার ইচ্ছেও হ্রাস পেতে পারে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।
Bengali 
English