দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা সবাই জানি শক্তির প্রধান উৎসই হলো কার্বজাতীয় খাবার। তবে ডায়েট যদি ‘নো কার্ব’ হয়, তাহলে দুর্বল লাগা কিন্তু স্বাভাবিক। তবে এমন কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলোতে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কম। সেগুলোই বেছে নিতে হবে।
আপনি হয়তো শরীরচর্চা করেন নিয়মিত। তবে বন্ধু-বান্ধবের কাছে শুনেছেন, দ্রুত মেদ ঝরাতে শরীরচর্চার পাশাপাশি, ডায়েটরও প্রয়োজন। লোকমুখে শুনেছেন যে, ইন্টারনেট ঘেঁটে এমন খাদ্য তালিকা তৈরি করতে, যার মধ্যে কার্বোহাইড্রেটজাতীয় খাবার একেবারেই নেই বললেই চলে। ভাত-রুটিতে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি থাকে সেটি আমাদের জানা। তবে আপনার তালিকায় সেসব কিছুই নেই।
খাবারের তালিকা থেকে কার্বোহাইড্রেট বাদ দিলেই শরীর দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। কারণ হলো, শারীরিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি জোগান দেয় এই ধরনের খাবারগুলো। সেইসব খাবার যদি বাদ চলেই যায়, তবে প্রয়োজনীয় পুষ্টি শরীর পাবে কোন খাবার থেকে?
এই তালিকায় রাখতে হবে ৫টি খাবার
মুরগির মাংস
যে কোনও মাংসেই প্রোটিনের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। সেজন্য ভাত-রুটির বদলে মাংস খেলে পুষ্টির অভাব থাকে না। তবে পুষ্টিবিদরা অন্যান্য মাংসের চেয়ে মুরগির মাংস খাওয়ার দিকে বেশি জোর দেন।
মাছ
মাছ সম্পর্কেও আমরা মোটামুটি জানি। কারণ হলো ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর মাছও শরীরের জন্য খুবই উপকারী। কাতলা কিংবা রুই তো বটেই, সঙ্গে যদি নিয়মিত অন্য কোনো মাছের সঙ্গে সামুদ্রিক মাছ খেতে পারেন, তাহলে শরীরের দুর্বলতা অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
ডিম
‘নো কার্ব’ ডায়েট করতে গিয়ে ভাত, রুটি না খেতেই পারেন। তবে সমস্যা একটায় আর তা হলো তার বদলে এমন কিছু খেতে হবে যা সেই অভাবটি পূরণ করতে পারে। তেমন একটি খাবারই হলো ডিম। প্রোটিন ও ওমেগা৩-তে ভরপুর ডিম, প্রতিদিন খাওয়া যেতে পারে। তবে অনেকের আবার হার্টের সমস্যা থাকতে পারে বা কোলেস্টরেল বেশি থাকতে পারে তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।
বাদাম ও বীজ
শরীরচর্চার ক্ষেত্রে আমাদের সব সময়ই সজাগ থাকতে হবে। স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, প্রয়োজনীয় নানা ভিটামিন ও খনিজে ভরপুর বাদাম ও বিভিন্ন ধরনের বীজ রাখতে পারেন আপনার ‘নো কার্ব’ ডায়েটে। আখরোট, কাঠবাদাম, কাজুর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বীজ শরীরে পুষ্টির জোগান দেয়।
সব্জি
আমরা অনেকেই অবগত আছি সবুজ শাক-সব্জিতে কার্বের পরিমাণ অনেকটাই কম থাকে। তাই বেশি খেলেও ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয় নেই একেবারেই। তবে পুষ্টিবিদরা বলেন, এই ক্ষেত্রে মাটির তলার সব্জি না খাওয়াই ভালো। অর্থাৎ যেগুলো মাটির উপরে জন্মায় সেগুলো খেতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।