দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কিংবদন্তী সুরকার লাকী আখন্দের প্রতি সম্মান জানাতে কোক স্টুডিও বাংলা’ করলো নতুন গান ‘ঘুম ঘুম’। গানটি গেয়েছেন তরুণ শিল্পী ফাইরুজ নাজিফা। এই গানটি মাত্র কয়েকদিনেই বেশ সাড়া ফেলেছে।
সঙ্গীত প্রযোজক হিসেবে ছিলেন জনপ্রিয় শিল্পী শুভেন্দু দাশ শুভ। মূল গানটি এস এম হেদায়তের লেখা, লাকী আখন্দের সুর করা ও শাহনাজ রহমতুল্লাহ্’র গাওয়া গান।
১৯৮০ সালের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র ‘ঘুড্ডি’-তে এই গানটি প্রথমবারের মতো ব্যবহার করা হয়। পাকিস্তান থেকে দেশে ফেরার পরই ‘ঘুম ঘুম’ ছিল শাহনাজ রহমতুল্লাহ্’র প্রথম গান। ‘ঘুড্ডি’ চলচ্চিত্রটি সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের তরুণ, মুক্ত পরিবেশকে তুলে ধরেছিলো। সেই একই পরিবেশটি উঠে এসেছে এই গানেও।
এই কালজয়ী গানটিকে নতুনভাবে পরিবেশন করতে গিয়ে বাংলা গানের সঙ্গে জ্যাজ সঙ্গীতকে মিলিয়েছে কোক স্টুডিও বাংলা। সোনালি দিনের অসাধারণ এই বাংলা গানটিকে যেনো নতুনভাবে প্রাণ দিয়েছেন শিল্পীরা। জ্যাজের জাদুর সঙ্গে নস্টালজিয়ার মিশ্রণে তৈরি হয়েছে চমৎকার এক সুর।
ল্যাটিন বিট গিটার, ট্রম্বোন এবং ডাবল বেইজের সঙ্গে মিশে শুভেন্দু দাশ শুভ’র সুর ও ফাইরুজের গম্ভীর কণ্ঠ শ্রোতাদের নিয়ে যায় যেনো এক জাদুময় জ্যাজ-ভরা অভিজ্ঞতার দিকে। দর্শকদের সুন্দর একটি ভিজ্যুয়াল অভিজ্ঞতা দিতে গানের সেটটি ডিজাইন করা হয় একটি ক্যাবারে জ্যাজ ক্লাবের আদলেই। সব মিলিয়ে এক মাধুর্যতা প্রকাশ পেয়েছে এই গানের মাধ্যমে। মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই গানটি বেশ সাড়া ফেলেছে দর্শক-শ্রোতাদের মধ্যে।
দেখুন ভিডিওটি
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org