দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতের মধ্য প্রদেশের বাসিন্দা গজেন্দ্র সিং কটনি জেলার রাজস্ব নিভাগে কর্মরত। তিনি ঘুষ নিতে গিয়ে পুলিশের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়েছেন। সেই টাকা কোথায় লুকিয়ে রাখবেন সেই পথ না পেয়ে শেষ পর্যন্ত সাড়ে ৪ হাজার টাকা চিবিয়ে খেয়ে ফেললেন তিনি!
সেই টাকা উদ্ধার করতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে স্থানীয় পুলিশকে। এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নিজের অফিসে বসেই দিব্যি ঘুষ নিচ্ছিলেন ওই কর্মকর্তা। পুলিশ পৌঁছাতেই হাতেনাতে ধরা পড়ে যান তিনি। তার ওঠে বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ। জানা গেছে, জমি সংক্রান্ত বিষয়ে চন্দন সিং লোধি নামে জনৈক ব্যক্তির থেকে গজেন্দ্র সিং ৫ হাজার টাকা ঘুষ চান। গজেন্দ্রর বিরুদ্ধে জব্বলপুর লোকায়ুক্তের কাছে অভিযোগ জানান চন্দন নামে ওই ব্যক্তি। তার অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ তদন্তে নামে।
অভিযোগ পাওয়ার পরই পুলিশ জব্বলপুরের বিলহারি অঞ্চলে গজেন্দ্রর ব্যক্তিগত অফিসে পৌঁছায়। সেই সময় তিনি ঘুষও নিচ্ছিলেন। যার পরিমাণ ছিলো সাড়ে ৪ হাজার টাকা। তখনই পুলিশ তাকে একেবারে হাতেনাতে ধরে ফেলে। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করলে সঙ্গে সঙ্গে ঘুষের সমস্ত টাকা মুখে পুরে ফেলেন তিনি। শুধু তাই নয়, সেই টাকা গিলেও ফেলেন ওই কর্মকর্তা।
তারপরই তাকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবশেষে গজেন্দ্রর মুখ থেকে গিলে ফেলা টাকার মণ্ড বের করা হয়। হাসপাতালের পক্ষ হতে জানানো হয়, গজেন্দ্র বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন। এই ঘটনার পর পুলিশ জানিয়েছে যে, ওই সরকারি কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ও ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org