দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নতুন সিনেমায় সুপারস্টার নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করতে যাচ্ছেন নায়িকা ববি হক। আর এই সিনেমার মধ্যে এই নায়িকার মেকআপ আর্টিস্ট নায়ক আদর!
সিনেম্যাটিক গল্পে ববি এবং আদরকে নিয়ে নির্মিত হতে যাচ্ছে নতুন অ্যানথোলজি ফিল্মটি যার নাম ‘খোয়াব’। এই সিনেমার সুপারস্টার নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করলেন ববি হক। তারই মেকাপ আর্টিস্টের চরিত্রে দেখা যাবে নায়ক আদর আজাদকে।
অনেকটা সিনেম্যাটিক গল্পে ববি এবং আদরকে নিয়ে নির্মিত হচ্ছে নতুন অ্যান্থলজি ফিল্ম ‘খোয়াব’। এটি পরিচালনা করছেন নির্মাতা আবুল খায়ের চাঁদ।
‘খোয়াব’-এ গল্পের হিরোর চরিত্রে রয়েছেন সাঞ্জু জন। সুমন আনোয়ারকে এই সিনেমায় দেখা যাবে একজন প্রযোজকের চরিত্রে। সম্প্রতি এফডিসিতে এর শুটিং শুরু হয়েছে। কয়েকদিন একটানা কাজ করে শেষ করা হবে শুটিং এর কাজ।
নির্মাতা বলেছেন, ‘খোয়াব’ ৩টি গল্প নিয়ে একটি অ্যান্থলজি ফিল্ম। মূল নাম হলো ‘জীবন জুয়া’। ‘খোয়াব’ পর্বে আদর ও ববি অভিনয় করছেন। তারা খুবই ভালো কাজ করছেন। দর্শকরা নতুন একটি জুটি পেতে যাচ্ছে। আসছে অক্টোবরে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পরিকল্পনা করছি।
এই ছবিটি সম্পর্কে চিত্রনায়িকা ববি বলেন, নতুনদের মধ্যে আদর আজাদের সম্ভাবনা অনেক গুণ বেশি। এই প্রথমবার তার সঙ্গে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালাম। এই সিনেমাটিও দর্শকদের ভালো লাগবে। তিনি বলেন, কিছু গল্পের ধারণা পূর্বেই দিতে নেই, টুইস্ট নষ্ট হয়ে যাবে। শুধু বলবো- কাজটি রিলিজ হলে দর্শকরা দেখলে তাদের ভালো লাগবে।
নতুন সিনেমা সম্পর্কে আদর আজাদ বলেন, প্রতিটি মানুষের জীবনেই কিন্তু স্বপ্ন থাকে। তবে সেই স্বপ্ন পূরণ করতে এসে নানা পরিবর্তনও হয়। সবসময় সব স্বপ্ন পূরণও হয় না। আর স্বপ্ন, তখন স্বপ্নই থেকে যায়। নামের সঙ্গে চরিত্রের গভীর একটা সম্পর্কও রয়েছে। এই ছবিতে আমি মেকআপম্যানের সহকারীর চরিত্রে অভিনয় করছি।
আদর বলেন, চরিত্রের প্রয়োজনে আমার গেটআপেও পরিবর্তন আনতে হয়েছে। যে পরিবর্তন পূর্বের সিনেমাগুলোতে ছিলই না। তবে কাজটি আমি উপভোগ করছি।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org