দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঘড়ি চেনেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। পৃথিবীর সব থেমে থাকলেও কিন্তু থেমে থাকে না ঘড়ির কাঁটা- চলতেই থাকে। তবে এবার এমন এক ঘড়ির কথা জানা গেলো যে ঘড়ির কাঁটা উল্টো ঘোরে!

তবে অনেকের মধ্যে কৌতূহল রয়েছে, এই ঘড়ির কাঁটা নিয়ে। কেনো ডান দিকে ঘোরে বাঁ দিকে কেনো ঘোরে না। তবে এমনই এক ঘড়ির সন্ধান পাওয়া গেছে যা কিনা ডান দিকে না ঘুরে বাঁ দিকে ঘুরে। -খবর ইয়াহু নিউজ’র।
এমনই এক ব্যতিক্রমী ঘড়ির সন্ধান পাওয়া গেছে তিউনিসিয়ার দ্য গ্রেট মস্ক অব তিস্তুরের মিনারে। অদ্ভুত নিয়মে চলা এই ঘড়ি বানানো হয়েছে অন্তত চারশ’ বছর পূর্বে। ১৭ শতকের প্রথম দিকে, স্পেন থেকে আন্দালুসিয়া সম্প্রদায়ের অনেকেই পালিয়ে তিস্তুরে আশ্রয় নেন। তাদেরই একজন নির্মাণ করেছিলেন এই মসজিদটি।
তবে সবকিছু বাদ দিয়ে এখনও মসজিদের রহস্যময় ঘড়িটিতে রয়েছে মানুষের বহু আগ্রহ। এর কাটা কেনো উল্টো দিকে ঘুরছে তা নিয়ে রয়েছে নানা রকম মত।
অনেকেই বিশ্বাস করেন যে, কাবা ঘর তাওয়াফের সময় ডান থেকে বাঁ দিকে ঘোরেন মুসল্লিরা। তাই ঘড়িটিও সেভাবেই বানানো হয়েছে। স্থানীয় অনেকেই মনে করেন, পালিয়ে আসলেও, অতীতে ফিরে যাওয়ার স্বপ্নই দেখতেন আন্দুলিসানরা। তাদের সেই স্বপ্নকেই ঘড়ির মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।
সংবাদ মাধ্যমকে তিস্তুরের শহর সুরক্ষা সংস্থার সভাপতি রাচিদ সোসি বলেছেন, কেও কেও বলে, কাবার চারপাশে মুসল্লিরা ডান থেকে বাঁ দিকে ঘোরে, আরবি লেখাও হয় ডান থেকে বাঁ দিকে সেই অনুযায়ী ঘড়িটি বানানো হয়। এছাড়াও অনেকেই মনে করেন, তারা আন্দালুসিয়ার স্মরণে ঘড়িটি এভাবেই বানিয়েছিল। আন্দালুসিয়া অঞ্চলের অবস্থান মানচিত্রের ঠিক বাঁ দিকে।
রাচিদ সোসি আরও বলেছেন, দ্য গ্রেট মস্ক অব তিস্তুরের মিনার ৩টি ধর্মের প্রতিনিধিত্ব করে। ইসলাম তো আছেই; এছাড়াও মিনারটিতে রয়েছে দ্য স্টার অব ডেভিড যা ইহুদি এবং খ্রিস্টান দুই ধর্মেই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নিঃসন্দেহে এই শহরের বিভিন্ন ধর্মের বাসিন্দাদের সহাবস্থানকেও তুলে ধরা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিশ্বে উল্টো ঘড়ি এটিই কিন্তু একমাত্র নয়। ইতালি, চেক রিপাবলিক এবং জার্মানিতেও রয়েছে এমন ধরনের অদ্ভুত ঘড়ি।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org