দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা দেখতে পায় জাপানিরা অনেক বয়সেও সুস্থ থাকেন। তারা কেনো সুস্থ্য থাকেন? জাপানিদের জেল্লাদার ও চিরতরুণ ত্বক আমাদের সত্যিই মুগ্ধ করে।
সবার মনেই জাপানিদের চিরযৌবনের রহস্য নিয়ে নানা প্রশ্ন ভিড় করতে থাকে! আসলে একটি বিশেষ স্কিনকেয়ার রুটিন ফলো করে থাকেন তারা। এই প্রতিবেদনে সেই সন্ধানই দেওয়া হয়েছে।
জাপানিদের চিরতরুণ ত্বকের রহস্য
চিরতরুণ লাবণ্য পাওয়ার জন্য বেশ কিছু বিশেষ নিয়ম পালন করে থাকেন জাপানিরা। তারা নিয়মিতভাবে ত্বকের যত্ন নেন। কেমন হয় তাদের স্কিনকেয়ার রুটিনগুলো? এবার সেই রহস্যই আপনার হাতের মুঠোয়।
কোলাজেন
জাপানি মহিলারা স্কিনকেয়ারকে খুবই গুরুত্ব দেন। তারা এমন খাবার ও পানীয় গ্রহণ করেন, যা ত্বকের অন্দরে কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধি করে থাকে। কখনও নাইট ক্রিম মিস করেন না জাপানিরা। এই উপাদানও কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে থাকে। আর তাই স্বাভাবিকভাবেই ত্বক থাকে টানটান।
অ্যান্টি-এজিং শিট মাস্ক
অ্যান্টি-এজিং শিট মাস্ক ব্যবহার করতে ভোলেন না। ২০ মিনিট অপেক্ষা করে শিট মাস্ক খুলে ফেলতে হয়। জাপানি মহিলারা এই প্রোডাক্ট ব্যবহার করে থাকেন।
ত্বকের মালিশ
জেল্লাদার ও টানটান ত্বকের জন্যে নিয়মিত মালিশ করা প্রয়োজন। সেই কথা ভুলে যাবেন না জাপানি নারীরা! নিয়মিত ফেস মাসাজ করলে রক্ত সঞ্চালনও বাড়ে। যে কারণে, অক্সিজেন সরবরাহ ঠিকঠাক মতো হয়। আর তখন জেল্লা উপচে পড়ে।
এই টিপসটি জরুরি
প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে প্রোডাক্ট মুখে লাগালে ত্বকের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও থেকে যায়। ত্বকের টানটানভাব নষ্ট হয়ে যেতে পারে। জেল্লাও হারিয়ে যেতে পারে। তাই শোওয়ার আগে অবশ্যই মেকআপ তুলে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত একদিন মুখে কোনওরকম প্রোডাক্ট না ব্যবহারের চেষ্টাও করুন।
অ্যান্টি-এজিং নাইটক্রিম
ত্বকের টানটান ভাব ধরে রাখতে এই অ্যান্টি-এজিং নাইটক্রিম লাগানোও জরুরি। মুখ ক্লিনজিং করার পর টোনার লাগিয়ে এই নাইট ক্রিমটি লাগান। তারপরেই অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুম জরুরি।
সানস্ক্রিন নিতে ভুলবেন না
দিনের বেলায় বাইরে বের হওয়ার আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন লাগাবেন। নাহলে ত্বকের ক্ষতিও হতে পারে। আপনি ফটোএজিংয়ের শিকার হতে পারেন। মেঘলা দিন হলেও এসপিএফ ৩০-এর সানস্ক্রিন লাগাতে ভুলবেন না।
স্কিন সিরাম ব্যবহার
ত্বকের জেল্লা বাড়াতে হলে স্কিন সিরাম ব্যবহার করা জরুরি। এটি আপনার ত্বকের অন্দরের কোষের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে। যে কারণে আপনিও পাবেন বলিরেখাহীন জেল্লাদার ত্বক।
গ্রিন টি পান করুন
গ্রিন টি হলো অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ। এতে নিয়মিত আপনার ত্বকের জেল্লা বাড়বে। আপনার ত্বকের উপর সুরক্ষাস্তরও তৈরি হবে। বয়স বাড়লেও খুব সহজেই ত্বকের উপর বয়সের ছাপও পড়ে না।
সঠিক খাবার খেতে হবে
ত্বকের যাবতীয় সমস্য়া নিয়ন্ত্রণ করার জন্যে আপনাকে স্বাস্থ্যকর ডায়েটও মেনে চলাটা জরুরি। তাই প্রত্যেককেই অবশ্যই সঠিক খাবার খেতে হবে। বাইরের জাঙ্ক ফুড, অতিরিক্ত তেল-মশলাযুক্ত খাবার, মিষ্টি না খাওয়াই হবে ভালো। এর বদলে ফল, সবজি খেতে হবে। তথ্যসূত্র: এই সময়।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org