দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুল জাহিন তৈরি করলেন ‘Note Maker AI’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপ।
জাহিদুল জাহিন নোবিপ্রবির ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। Jrcreativestudio নামে ডেভেলপার কোম্পানি থেকে তিনি এই অ্যাপটি প্রকাশ করেন।
গত ৭ আগস্ট জাহিনের তৈরি এই অ্যাপস গুগল প্লে স্টোরেও প্রকাশ পায়। তার তৈরি অ্যাপ্সটির আকার হলো ১১ মেগাবাইট।
শিক্ষা ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত এই অ্যাপটি ইংরেজি ভাষায় ব্যবহার করা যাবে। শিক্ষার্থীরা চাইলে প্লে স্টোর থেকেও এটি ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবেন।
অ্যাপসটির কাজ সম্পর্কে জানতে চাইলে জাহিদুল জাহিন সংবাদ মাধ্যমকে বলেনছেন, ‘এই অ্যাপসটি মূলত আমাদের মতো ভার্সিটির ও অন্যান্য স্টুডেন্টদের টার্গেট করেই বানানো হয়েছে, যা দিয়ে শিক্ষার্থীরা কয়েকটি ক্লিকেই তাদের রিকুয়েরমেন্ট অনুযায়ী যে কোনো টপিকের উপর ভালো একটি নোট পেয়ে যাবেন। এই অ্যাপসটির ব্যবহারও খুবই সহজ।
তিনি আরও বলেন, এই অ্যাপে হালের বিখ্যাত আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স -এর ইন্টিগ্রেশন করা হয়েছে, যা গুগল সহ বিভিন্ন বিখ্যাত সার্চ ইঞ্জিনে অ্যাভেলেইবল তথ্য হতে শিক্ষার্থীদের রিকোয়েরমেন্ট অনুযায়ী তথ্য খুঁজে নোট তৈরি করে দেবে। এই অ্যাপসের বিশেষ ফিচার হলো- এটি ইউজারের ই-মেইল ছাড়া কোনো তথ্যই স্টোর করবে না ও তা অন্য কোথাও শেয়ারও করবে না। তাছাড়াও এটির আরেকটি বিশেষত্ব হলো, ‘একবার নোট পাবার পরে চাইলে আবারও কোনো কিছু অ্যাড কিংবা মডিফাইয়ের জন্য শিক্ষার্থীরা চ্যাটের মাধ্যমে মেসেজ সেন্ডও করতে পারবেন ও সেই অনুযায়ী মডিফাইড নোট পেয়েও যাবেন।’ এই অ্যাপসটি বর্তমানে সম্পূর্ণ ফ্রী।
ভবিষ্যতে কি করতে চান এই প্রশ্নের জবাবে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ছাত্র জাহিদুল জাহিন বলেছেন, ‘আগামীতে আরও কিছু অ্যাপস আসবে, যারমধ্যে একটি হলো কেইস মাস্টার এআই, যা দিয়ে আইন ব্যাকগ্রাউন্ড -এর সবাই যে কোনো কেস স্টাডিজ কিংবা মামলার রেফারেন্স এআই দিয়ে খুব সহজেই পেয়ে যাবেন।’
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org