দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রতিটি মানুষের প্রতিদিনই কম-বেশি শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হয়। সেই প্রয়োজন মেটাতে সিঙ্গাপুরের একটি মোবাইল অ্যাপ এসেছে। যে অ্যাপ মাত্র ৪৫ সেকেন্ডে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছে!
প্রতিদিনই সকালে বাসা থেকে বের হয়ে অফিসে যাওয়ার আগ মুহূর্তে পর্যন্ত কারও পক্ষে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা সম্ভব হয় না। তবে এবার কোনও ঝামেলা ছাড়াই এই সব পরীক্ষা করা যাচ্ছে একটি স্মার্টফোনের মাধ্যমে। মাত্র ৪৫ সেকেন্ডেই হৃদস্পন্দন, অক্সিজেনের মাত্রা এবং মানসিক চাপের স্তর জানা যাচ্ছে স্মার্টফোনের একটি অ্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমে।
সিঙ্গাপুরের একটি স্টার্টআপ কোম্পানি নার্ভোটেক তৈরি করেছে এই আধুনিক পরামর্শদাতা স্মার্টফোনের অ্যাপ্লিকেশনটি।
বার্তা সংস্থার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নার্ভোটেকের এই অ্যাপ্লিকেশনটি বর্তমানে সিঙ্গাপুরের কাজিমা নির্মাণশিল্প ব্যবহার করছে। প্রতিষ্ঠানটি স্মার্টফোনের মাধ্যমে কর্মীদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরই কাজ করতে দিচ্ছে। মহামারি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ এবং সংক্রমণ প্রতিরোধেও তাদের এই প্রযুক্তি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
নার্ভোটেক কোম্পানিটির প্রতিষ্ঠাতা জোনাথন লাউ এই বিষয়ে জানিয়েছেন, সিঙ্গাপুর সরকার এই প্রযুক্তিটিতে বেশ আগ্রহী। তাছাড়াও স্বাস্থ্যসেবাদাতা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে সাড়াও পাওয়া যাচ্ছে। তবে অ্যাপটি এখনও প্রাথমিক পর্যালোচনার মধ্যে রয়েছে। শীঘ্রই ব্যাপকভাবে এর ব্যবহার বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।