দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণ বয়স বাড়লে চোখে ছানি পড়ার সমস্যা দেখা দেয়। তবে কম বয়সেও চোখে ছানি পড়ে। কারও কারও কম বয়সেও ছানি পড়লে কী সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে?
বার বার চেষ্টা করেও অনেক সময় চশমা চোখে সুচে সুতো পরাতে গিয়ে হিমসিম খেতে হচ্ছে আপনাকে। বয়স বেশির দিকে এগোতে থাকলে এমন নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়- সেটিই স্বাভাবিক। তবে অনেক সময় ৪০ পেরোনোর আগেও যদি দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যায় সেই ক্ষেত্রে কী করণীয়? রেটিনার সমস্যা থেকে দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসা কিন্তু অন্য বিষয়। তবে এই সমস্যা যদি ছানি থেকেই হয়, এইক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার ছাড়া গতি নেই।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য বলছে যে, শুধু মাত্র ভারতেই প্রতিবছর ৩৮ লক্ষ মানুষ ছানির সমস্যার কারণে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেন। সব সময় যে বয়সের কারণে চোখে ছানি পড়ে, তা কিন্তু নয়। ডায়াবেটিস, অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস থেকেও
অনেক সময় অল্প বয়সেও ছানি পড়তে পারে। ছানি এক বার পড়ে গেলে তা প্রতিরোধ করার কোনও উপায় থাকে না। তবে আগে থেকে কিছু সতর্কতা মেনে চললে ছানি পড়ার গতি কিছুটা হলেও শ্লথ করা সম্ভব।
অতিবেগনি রশ্মি
ঘুরতে গিয়ে ছবিতে সুন্দর দেখাবে বলে চোখে রোদচশমা দেন অনেকেই। সব সময় তা পরার কথা মনেও থাকে না। চিকিৎসকরা বলেছেন, সূর্যের ইউভি রশ্মি থেকে চোখে ছানি পড়ার আশঙ্কাও বেড়ে যায়। তাই রোদ থেকে চোখ বাঁচিয়ে রাখতে গেলে রোদচশমা পরার অভ্যাস করতে পারেন।
পুষ্টিকর খাবার
চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলে প্রতিদিন পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। চোখের জন্য ভিটামিন এ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যে কোনও হলুদ, লাল ও কমলা রঙের সব্জি কিংবা ফলে ভিটামিন এ-র পরিমাণ অনেক বেশি। এছাড়াও পালং শাকের মতো শাকপাতাও চোখের জন্য বেশ উপকারী।
নিয়মিত চোখ পরীক্ষা
চোখ ভাল রাখতে হলে ৩০ বছরের পর হতে নিয়মিত চোখের পরীক্ষা করাতে হবে। চোখের কোনও সমস্যা না থাকলেও চক্ষু চিকিৎসকের কাছে যাওয়া দরকার। কারও পরিবারে যদি অল্প বয়সে চোখে ছানি পড়ার ইতিহাস থাকে, সেই ক্ষেত্রে আরও বেশি করে সাবধান হতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org