দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনে প্রথমবারের মতো সৌদি আরব একজন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।সোমবার নতুন রাষ্ট্রদূত নায়েফ আল-সুদাইরি ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে পৌঁছেছেন।
সংবাদ মাধ্যম ওয়েফারের এক খবরে বলা হয়, ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের কাছে তিনি তার পরিচয়পত্র পেশ করবেন।
পশ্চিমতীরের রামাল্লাহ শহরে গতকাল (মঙ্গলবার) তিনি ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী রিয়াদ মালকির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
ফিলিস্তিনের গণমাধ্যম জানিয়েছে যে, ফিলিস্তিনি মুক্তি সংস্থা পিএলও’র নির্বাহী কমিটির মহাসচিব হোসেইন আল-শেখ সৌদি রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়েছেন।
ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানানো হয় যে, সৌদি রাষ্ট্রদূত সুদাইরি মঙ্গলবার ও বুধবার রামাল্লাহ সফর করেন। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়নের ক্ষেত্রে এই সফরকে ঐতিহাসিক বলেও মন্তব্য করেছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ।
রাষ্ট্রদূত নিয়োগের মধ্যদিয়ে দুই দেশের যৌথ সহযোগিতার ক্ষেত্রে নতুন এক দিগন্তের সূচনা হবে বলেও ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেছেন।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ রামাল্লাহ শহর হতে রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে থাকে। আপাতত সৌদি রাষ্ট্রদূতও সেখান থেকেই কাজ করবেন।
উল্লেখ্য, গত ১৩ আগস্ট সৌদি আরব জর্দানে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত সুদাইরিকে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের জন্য অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেয়। সেইসঙ্গে পবিত্র আল-কুদস শহরে একটি কনসাল জেনারেল অফিস খোলার কথাও জানিয়েছে।
ইহুদিবাদী ইসরাইল সেই সময় সৌদি আরবের এই ধারণা প্রত্যাখ্যান করে। ইসরাইল আল-কুদস শহরকে নিজের রাজধানী বলেই দাবি করে। তবে আমেরিকা ছাড়া বিশ্বের উল্লেখযোগ্য কোনো দেশ আল-কুদসকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে কখনও স্বীকৃতি দেয় না। ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের জন্য আল-কুদস শহরে কোনো ধরনের কূটনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার অনুমতিও দেয় না।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org