দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ৫ অক্টোবর আড়ম্বরপূর্ণ এক আয়োজনের মাধ্যমে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপন করেছে ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকা।
আইএসডি’তে ৩০টির বেশি দেশের শিক্ষক রয়েছেন, যারা ভবিষ্যতের বিশ্বকে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্য নিয়ে নিবেদিতভাবে শিক্ষাদান করে যাচ্ছেন।
আইএসডি’র সেকন্ডারি রিপ্রেজেন্টেটিভ কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্য শিক্ষার্থীরা দিনটি উদযাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করে। স্কুলের সেকন্ডারি ভবন সাজিয়ে তোলার পাশাপাশি শিক্ষকদের ধন্যবাদ বার্তা লেখার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয় দিনটি। তাছাড়া, শিক্ষকদের পোশাক রীতি অনুকরণ করে তাদেরকে সম্মান জানাতে আয়োজন করা হয়েছে ‘ড্রেস লাইক ইওর ফেভারিট টিচার ডে।’ এছাড়াও, শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বরূপ সেকন্ডারি অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ টিমের পক্ষ থেকে সেকন্ডারি স্কুলের সকল শিক্ষককে একটি করে ব্যক্তিগত ‘নোট অব অ্যাপ্রেসিয়েশন’ প্রদান করা হয়।
“আইএসডি সেকন্ডারি স্কুলের দুর্দান্ত এই শিক্ষকদের সাথে কাজ করতে পেরে আমি নিজেকে অত্যন্ত সৌভাগ্যবান মনে করি। আমাদের নবীন শিক্ষার্থীদের জীবনে প্রতিদিনই তারা উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলছেন। আমাদের শিক্ষকরা স্কুলের সকল শিক্ষার্থীদের মাঝে অনুপ্রেরণা যোগান। বিশ্ব শিক্ষক দিবসে তাদের এই কঠোর পরিশ্রমকে সম্মান জানাতে পেরে আমরা আনন্দিত।” বলেন, আইএসডি’র সেকেন্ডারি প্রিন্সিপাল ক্রিস বয়েল।
স্কুল সমাবেশের সময়ে শিক্ষকতা নিয়ে কবিতা আবৃত্তির মাধ্যমে এই দিনটি পালন করে প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বক্তৃতা প্রদান করে স্কুলের সিনিয়র হেডরা। সবশেষে, ঐতিহ্যবাহী নাস্তার আয়োজনের সাথে অনুষ্ঠানের এই অংশের সমাপ্তি ঘটে।
আইএসডি’র প্রাইমারি প্রন্সিপাল ডেভিড লংওয়ার্থ বলেন, “শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে সকল শিক্ষকদেরকে সাধুবাদ জানানোর ক্ষেত্রে বিশ্ব শিক্ষক দিবস একটি স্মরণীয় দিন। নিজেদের প্রতিভা ও মহৎ উদ্দেশ্য পূরণে শিক্ষকরা যেনো নিবেদিতভাবে কাজ করতে পারেন এবং এক্ষেত্রে তাদের আমাদের সমর্থন ও সম্মান দেয়া প্রয়োজন। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি পুরো স্কুলের জন্যই আস্থার জায়গা হচ্ছেন শিক্ষকরা।”
পরবর্তীতে, মূল প্রশাসনিক ভবনের প্রবেশমুখে একটি বড় ডিসপ্লে বোর্ডে শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা বার্তা প্রদান করা হয়। এ সময় সেখকানে স্কুলের সকল কর্মকর্তা, শিক্ষক ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন এবং স্কুলের সবাইকে শিক্ষকদের প্রতি সম্মাননা জানানোর আহ্বান জানানো হয়।
আইএসডি’র পরিচালক স্টিভ ক্যালান্ড-স্কবল বলেন, “আইএসডি তে আমরা বিশ্বাস করি স্কুলের সাফল্যের পেছনে শিক্ষকরাই আমাদের মূল চালিকাশক্তি। স্কুল এবং আঞ্চলিক পর্যায়ে স্বশরীরে উপস্থিতি ও অনলাইন কর্মশালার মাধ্যমে আমরা আমাদের শিক্ষকদের বিকাশের সুযোগ দিয়ে থাকি।
এছাড়াও, আমরা আমাদের শিক্ষকদের জন্য বিভিন্ন প্রোগ্রাম আয়োজন করি, যেখানে ‘ক্রিটিকাল থিংকিং’ ও ‘আত্ম-প্রতিফলন’ -এর মতো বিষয়ে শিক্ষকদের উৎসাহিত করা হয়। পাশাপাশি, শিক্ষকদের যেনো ধারাবাহিক বিকাশ ঘটে এ ব্যাপারে তাদের উৎসাহিত করা হয়। এছাড়াও, শিক্ষকদের জন্য বিশ্বব্যাপী স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সার্টিফিকেশন এবং ডিগ্রি প্রোগ্রামেরও ব্যবস্থা করা হয়।
শিক্ষার্থীদের জীবন বদলে দিয়ে বিশ্বকে একটি ভালো জায়গা হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করা শিক্ষকদের কাজ ও অধ্যবসায়কে উদযাপন করার দিন আজ – বিশ্ব শিক্ষক দিবস।” খবর প্রেস বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org