দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গ্লোবসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলমান সংঘাতে মাত্র একদিনে তেল আবিবের গুরিয়ান বিমানবন্দর দিয়ে অন্ততপক্ষে ৬০ হাজার ইসরাইলি দেশত্যাগ করেছেন। এখনও হাজার হাজার মানুষ ইসরাইল ছাড়ার জন্য বিমানবন্দরটিতে ভিড় করছেন।
টাইমস অব ইসরাইল ও গ্লোবসের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়। যদিও ওই প্রতিবেদেনে থেকে জানা যায়, আতঙ্কের মধ্যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিমান কোম্পানি ইসরাইলে তাদের ফ্লাইট স্থগিত করেছে। এতে করে আরও বেড়েছে যাত্রীর চাপ। বর্তমানে বেন গুরিয়ান বিমানবন্দরের টার্মিনাল-১ বন্ধ রয়েছে। বিমানবন্দরের ৩ নম্বর টার্মিনাল দিয়ে সীমিত পরিসরে অপারেশন পরিচালনা করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিমান কোম্পানিও ইসরাইলে ফ্লাইট বাতিল করেছে। এছাড়াও জার্মানির লুফথানসা, সংযুক্ত আরব আমিরাতের এমিরেটস এবং গ্রিক বিমান কোম্পানিও এজিন এয়ার লাইনসও দেশটিতে তাদের সকল ফ্লাইট বাতিল করেছে।
ফিলিস্তিনের পাশাপাশি ইসরাইলেও নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা গেছে, ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬০০ ছাড়িয়েছে। নিহতদের মধ্য সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সামরিক বাহিনীর সদস্যও রয়েছেন।
যতো সময় গড়াচ্ছে পরিস্থিতির ততোই অবনতির দিকে যাচ্ছে। হামাস এবং ইসরাইলি বাহিনীর মধ্যে তীব্র লড়াই অব্যাহত রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে গাজার সীমান্তবর্তী বিভিন্ন শহর হতে নিজেদের নাগরিকদের সরিয়ে নিচ্ছে ইসরাইল।
ইতিপূর্বে ইসরাইলকে লক্ষ্য করে ৫ হাজারের বেশি রকেট হামলা চালিয়ে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস নিজেদের শক্তিমত্তার জানান দেয়।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org