দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শনিবার ভোর থেকে ইসরাইলিদের তৈরি অবৈধ বসতিগুলো লক্ষ্য করে আকস্মিক এবং অতর্কিত হামলা শুরু করেছে ফিলিস্তিনের গাজাভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। শনিবার সকাল থেকেই চালানো এই হামলার কারণে দেশটিতে আটকা পড়েছেন বলিউড অভিনেত্রী নুসরাত ভারুচা।
হাইফা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিতে ইসরাইলে যান নুসরাত ভারুচা। যে কারণে সেখানে আটকা পড়েছেন এই বলিউড অভিনেত্রী। অভিনেত্রীর টিমের সঙ্গে সর্বশেষ যোগাযোগে একটি বেসমেন্টে আশ্রয় নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন নুসরাত ভারুচা। তবে তার পর থেকে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না তার সঙ্গে। -খবর ইন্ডিয়া টুডের।
এদিকে নুসরাত ভারুচার টিমের এক সদস্য সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, নুসরাত ভারুচা দুর্ভাগ্যবশত: ইসরাইলে আটকা পড়েছেন। হাইফা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দিতে তিনি সেখানে যান। শেষবার শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে যখন আমি তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরেছি, তখন তিনি একটি বেসমেন্টে নিরাপদেই ছিলেন। নিরাপত্তার জন্য বিস্তারিত প্রকাশ করা যাবে না। এরপর থেকে আমরা সংযোগ করতে পারছিলাম না তারসঙ্গে। তাকে নিরাপদে ভারতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি ও আশা করি তিনি সুস্থ এবং অক্ষত অবস্থায় ফিরে আসবেন।’
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস শনিবার সকালে দক্ষিণ ইসরাইলের বিস্তীর্ণ এলাকায় হামলা চালায়। প্রথম দফায় ৫ হাজার রকেট ছোড়া হয় বলে দাবি হামাসের। ইসরাইলেও ঢুকে পড়েন হামাসের বন্দুকধারীরা।
এদিকে হামাসের আকস্মিক হামলার পর ইসরাইলও গাজা উপত্যকায় একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে। এই পর্যন্ত অন্তত ২৫০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আর আহত হয়েছেন ১ হাজারের বেশি গাজাবাসী। বড় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি হিসেবে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী ইতিমধ্যেই বিপুলসংখ্যক সৈন্য জড়ো করেছে। ইসরাইলি সেনাবাহিনী দীর্ঘ অবরুদ্ধ গাজার ৭টি ভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের তাদের বাড়িঘর ছেড়ে শহরের কেন্দ্রে চলে যাওয়া বা আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org