দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পুরুষদের শরীরে হরমোনের মাত্রায় হেরফের ঘটে একমাত্র স্থূলত্বের কারণেই। যা প্রজননের পক্ষে একেবারেই অনুকূল হবে না।
কিছু দিন আগে পর্যন্ত ‘সন্তানধারণে সমস্যা’ শব্দবন্ধটি শুনলে প্রথমেই মেয়েদের কথাই মাথায় আসতো। সবার আগে মেয়েদেরই নানা ধরনের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যেদিয়ে যেতে হতো। তবে এখন মানুষ আগের চেয়েও অনেক বেশি সচেতন হয়েছেন। পুরুষেরাও যে একইভাবে এই সমস্যার শিকার হতে পারেন- সেটি জানিয়েছেন চিকিৎসকরাও। তবে ঠিক কী কারণে পুরুষরা বন্ধ্যত্বের শিকার হচ্ছেন? সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, স্থূলত্ব ও তার সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার কারণে পুরুষদের মধ্যেও বন্ধ্যাত্ব দেখা দেয়।
এই বিষয়ে চিকিৎসকরা বলেছেন, পুরুষদের দেহের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলেই তাদের শুক্রাণুর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম ও গুণগত মানও বেশ খারাপ হতে থাকে। এছাড়াও পুরুষদের শরীরে হরমোনের মাত্রায় হেরফের ঘটে এই স্থূলত্বের কারণে। যা প্রজননের পক্ষে মোটেও অনুকূল নয়। এই হরমোনের মাত্রা এদিক-ওদিক হওয়ার কারণে শুক্রাণুর কার্যক্ষমতা কমে যায়। তবে শুধু হরমোনই নয়, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের কারণেও অনেক সময় পুরুষরা বন্ধ্যত্বের মতো সমস্যায় পড়ছেন। স্থূলত্বের সমস্যা টাইপ-২ ডায়াবেটিসের মতো রোগকেও ডেকে নিয়ে আসে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলেও সন্তানসুখ লাভ সম্ভব হবে না বলে মনে করেন চিকিৎসরা। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org