দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দাঁতে যন্ত্রণা হচ্ছে বলে সঙ্গে সঙ্গেই চিকিৎসকের কাছে ছুটতে পারবেন না। তবে এই ধরনের যন্ত্রণা বশে রাখতে কয়েকটি বিষয় জেনে রাখলে উপকার পাবেন। আজ জেনে নিন সেই বিষয়গুলো।
ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে একবার ঠাণ্ডা আইসক্রিম, এক বার গরম চা খাচ্ছেন। গলা শুকিয়ে যাচ্ছে বলে মাঝে-মধ্যেই চিউইং গামও চিবোচ্ছেন। আবার ক্যান্ডি ফ্লস দেখে বাচ্চাদের মতো লাফিয়ে উঠে সেই খাবার খাওয়ার জন্য ছুটছেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই ‘হাড়ে হাড়ে’, থুড়ি ‘দাঁতে দাঁতে’ টের পাচ্ছেন এক ব্যথা। উৎসব অনুষ্ঠান বা কোথাও গিয়ে দাঁতব্যথার মতো সমস্যা বেশ যন্ত্রণাদায়ক মনে হয়। দাঁতে যন্ত্রণা হচ্ছে বলে চাইলেই তো চিকিৎসকের কাছে ছুটতেও পারবেন না- এই অবস্থায়। তবে এই ধরনের যন্ত্রণা বশে রাখতে কয়েকটি বিষয় জেনে নিলে উপকার পাবেন। আজ জেনে নিন সেই বিষয়গুলো।
মুখগহ্বরের যত্ন
নানা ব্যস্ততায় যতোই রাত হোক না কেনো, ঘুমোতে যাওয়ার আগে দাঁত মাজার অভ্যাস থেকে বিরত থাকলে কিন্তু চলবে না। দিনে দু’বার দাঁত মাজার অভ্যাস বজায় রাখতে হবে সব সময়।
সঠিকভাবে দাঁত ব্রাশ করা
ত্বকের ধরন অনুযায়ী প্রসাধনী কিনেন সবাই। তবে পরিবারের সকলেই এক ধরনের মাজন ব্যবহার করেন। কিন্তু চিকিৎসকরা বলেছেন, মুখগহ্বরের সমস্যা অনুযায়ী প্রত্যেকের মাজনই আলাদা হওয়াটা জরুরি।
মিষ্টিজাতীয় খাবারে লাগাম টানতে হবে
সাধারণত দাঁতের সমস্যা শুরু হয় মিষ্টিজাতীয় খাবার থেকেই। অতিরিক্ত ঠাণ্ডা বা গরম যেমন কোমল পানীয়, চকোলেট, আইসক্রিম, মিষ্টি খেলে অম্লত্বের পরিমাণও বেড়ে যেতে পারে। এই অ্যাসিড থেকেই দাঁতের এনামেল নষ্ট হয়। দাঁতের উপর থেকে এই উপাদানের পরত উঠে গেলেই তখন দাঁত সহজেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org