দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আধুনিক জীবন যাপনের একটি অন্যতম অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়াচ্ছে ট্যাবলেট। যোগাযোগ বা বিনোদনের জন্য তো বটেই, পড়াশোনার জন্যেও দিন দিন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে চতুষ্কোণ এই যন্ত্রটি। তাই আমেরিকার নর্থ ক্যারোলিনা অঙ্গরাজ্যের গুইলফোর্ড কাউন্টির স্কুলগুলোতে তাই প্রতিটি শিক্ষক এবং ছাত্রের হাতে ট্যাবলেট তুলে দেয়ার কর্মসূচী হাতে নিয়েছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যামপ্লিফায়ার।
গুইলফোর্ড কাউন্টির ১৮টি স্কুল সেখানকার শিক্ষা বিভাগের তত্ত্বাবধানে প্রতিটি শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের হাতে একটি করে ট্যাবলেট তুলে দেয়ার কর্মসূচী হাতে নেয় চলতি বছরের শিক্ষাবর্ষের শুরুর দিকে। স্কুলগুলোর মতে, ট্যাবলেটে ইন্সটল করা শিক্ষা বিষয়ক অ্যাপ্লিকেশনগুলো শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার কাজটিকে স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তুলবে। তাই শিক্ষা বিভাগের তত্ত্বাবধানে স্কুলগুলো ১৫ হাজার ট্যাবলেট কেনার ঘোষণা দেয়। সবচেয়ে কম দাম হাঁকাবে যেই কোম্পানি, তাদের কাছেই এই ১৫ হাজার ট্যাবলেটের অর্ডার দেয়া হবে বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই উল্লেখ করে তারা। অ্যাপলের মত অনেক বড় পুঁজির কোম্পানি আগ্রহ প্রকাশ করলেও সবচেয়ে কম দামে ট্যাবলেট সরবরাহের আশ্বাস দিয়ে কাজটি পেয়ে যায় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যামপ্লিফায়ার। কোম্পানিটির কাছ থেকে এই ১৫ হাজার ট্যাবলেট কিনতে ১৮ টি স্কুলকে সব মিলিয়ে ১৬.৪ মিলিয়ন ডলার গুনতে হবে। তবে একসাথে নয়, টাকা পরিশোধ করা হবে কিস্তিতে। গুইলফোর্ড কাউন্টির বাকি স্কুলগুলোতে এই কার্যক্রম শুরু হবে আগামী বছর।
এদিকে ট্যাবলেট ব্যবহার করে শিক্ষা দান পদ্ধতির সঙ্গে শিক্ষকদের অভ্যস্ত করে তোলার জন্য বিশেষ কর্মসূচীও হাতে নিতে হয়েছে স্কুলগুলোকে। তবে বিষয়টি মোটেও সহজ নয় বলেই জানিয়েছেন প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর কর্মকর্তাগণ। অন্যদিকে শিক্ষকদের পাশাপাশি অভিভাবকদেরও ট্যাবলেটের সঙ্গে অভ্যস্ত করানো হচ্ছে। স্কুলগুলোর মিডিয়া সেন্টারে ১০টি করে ট্যাবলেট থাকবে যেগুলো একজন অভিভাবক ট্যাবলেট ব্যবহার শিখতে এক সপ্তাহের জন্য ধার নিতে পারেন। লাজুনায়া গ্রিন নামের এক অভিভাবক নতুন এই অনুভূতি সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, ‘মেয়ে স্কুলে কি শিখছে, শিক্ষকরা কিভাবে পড়াচ্ছেন, তা বোঝার জন্য এখন আর ক্লাসে বসে থাকার প্রয়োজন নেই। ঘন ঘন অভিভাবক সমাবেশেরও দরকার পড়েনা। ট্যাবলেটে একটু স্ক্রল করে নিচে নামলেই ক্লাসে কি কি কথা হয়েছে সবই দেখতে পাওয়া যায়।’
তথ্যসূত্র: দি টেক জার্নাল