দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নতুন এমন এক ফোন ও ট্যাবলেট আবিষ্কার করা হয়েছে যা ঘুমের কোনো ক্ষতি করবে না! নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো বলেছে, যাতে ঘুম নষ্ট না করে সেজন্যই এমন ডিভাইস তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিশ্বের বৃহত্তম এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো তাদের ডিভাইসগুলো অতিরিক্ত উজ্জ্বল আলো ছড়ায়। এগুলো হতে নীল রঙের এরকম এক আলো বিচ্ছুরিত হয়, যা মানুষের ঘুমানোর ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। অ্যাপল এবং আমাজন এই দুটো প্রতিষ্ঠানই সম্প্রতি ঘোষণা করেছে যে, তারা এমন এক ফোন ও ট্যাবলেট তৈরি করবে যাতে নিদ্রার কোনো ব্যাঘাত ঘটবে না।
এসব কোম্পানির উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন শীর্ষস্থানীয় চিকিৎসকরা। ব্রিটেনের চিকিৎসক এ বিষয়ে প্রফেসর পল গ্রিনগ্রাস বলেছেন, ‘এই উদ্যোগ প্রকৃতপক্ষেই চমৎকার।’
বিজ্ঞানীরা বলছেন, মানুষের ঘুমের জন্যে শরীরিক একটি প্রক্রিয়া রয়েছে। সেটি হচ্ছে, রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের ভেতরে ঘুমের জন্যে দায়ী মেলাটনিন হরমোনের নিঃসরণ হতে শুরু করে। তবে ট্যাবলেট আর স্মার্টফোন হতে নীল এবং সবুজ আলো নিঃসৃত হয় সেটা শরীরের ভেতরে ওই হরমোন উৎপাদনে বাধার সৃষ্টি করে তাকে। যে কারণে ঘুমের ক্ষতি হয়।
প্রফেসর গ্রিনগাস গবেষণা করে দেখিয়েছেন যে, নতুন প্রজন্মের যেসব স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেট বাজারে আসছে সেগুলো একটার চেয়ে আরেকটা খুব বেশি উজ্জ্বল।
গবেষণায় দেখা গেছে যে, এই আলোর কারণে ঘুমাতে ক্ষতি হয় অর্থাৎ দেরি হয়। তাছাড়াও ঘুম গভীর হয় না, কিংবা পাতলা ঘুম হয়। আবার সকালে ঘুম হতে ওঠার পর নিজেকে খুব ক্লান্তও মনে হয়।
এসব গবেষণাকে এতোদিন ফোন কোম্পানিগুলো খুব একটা গুরুত্ব দেয়নি। বিষয়গুলো এড়িয়ে চলতো তারা। তবে এখন ভোক্তাদের দিক হতে তারা চাপে পড়েছে- বলছেন বিজ্ঞানীরা। অনেকে কোম্পানির মধ্যে এমন এক ভীতিও তৈরি হয়েছে যে, এই অভিযোগে কেও তাদের বিরুদ্ধে মামলাও করে দিতে পারে। সেকারণে অ্যাপল ঘোষণা করেছে, তাদের পরবর্তী জেনারেশনে তারা ‘নাইট শিফট’ অপশন চালু করবেন। কর্মকর্তারা মনে করছেন, যে কারণে ঘুমের কোনো সমস্যা হবে না। দিনের কোন সময় আপনি এই ফোনটি ব্যবহার করছেন সে অনুযায়ীয় ডিভাইসটি আলো ছড়াবে। আমাজন এই অসুবিধার কথা ইতিমধ্যে স্বীকারও করে নিয়েছে!