দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্যুটকেসের মতো বহন করা যাবে এমন এক ইলেকট্রিক স্কুটার এবার দেখা গেলো। সেই ইলেকট্রিক স্কুটারটি ফোল্ডেবল। স্কুটারটির Honda Motocompacto নাম দেওয়া হয়েছে।

উদ্ভট আকারের সেই ই-স্কুটারটি আপনি স্যুটকেসের মতোই বহন করতে পারবেন। আসলে এই স্যুটকেস আকারের ইলেকট্রিক স্কুটারটিকে হোন্ডা অনেকটাই তাদের পুরোনো মডেলগুলোর মতোই করেছে। ইলেকট্রিক স্কুটারটি খুবই হালকা, আবার ওজন মাত্র ১৯ কেজি। হাতে করেই আপনি এটি বহন করতে পারবেন।
স্কুটারটিকে যদি একটা স্যুটকেসে ভরে যেখানে-সেখানে বেড়াতেও যেতে পারতেন, তাহলে ভালোই হতো। আবার পার্কিস স্পেসেরও কোনো ঝামেলা নেই! জাপানিজ অটোমেকার হোন্ডা এবার সেরকমই একটা ইলেকট্রিক স্কুটার নিয়ে এলো। উদ্ভট আকারের সেই ই-স্কুটার আপনি স্যুটকেসের মতোই বহওন করতে পারবেন।
১৯৮০ সালের দিকে জাপানিজ ম্যানুফ্যাকচারার হোন্ডার কাছে এমন একটি স্কুটারই ছিল, যার বুটস্পেসে পুরো গাড়িটাই ফিট করে যেতো। হোন্ডার মটোকম্প্যাক্টো ইলেকট্রিক স্কুটারের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ দিকই হলো এটি কম্প্যাক্ট ও ফোল্ডেবল। অর্থাৎ আপনি এটিকে ফোল্ড করেও যেখানে-সেখানে ঘুরতে পারবেন। অনেক সময় আমাদের অনেকটা দূরেও যেতে ট্রেন বা বাস ধরতে গিয়ে। তবে ট্রেন বা বাস থেকে নেমেই আবার গন্তব্যে পৌঁছাতে অটো কিংবা রিকশা ধরতে হয়। এখন ভেবে দেখুন, এরকম যদি একটা স্যুটকেসের মতো স্কুটার আপনার কাছে থাকেই, তাহলে আপনি তা যেখানে খুশি নিয়েও যেতে পারেন।
এই ইলেকট্রিক স্কুটারটি খুবই হালকা, এর ওজন হলো মাত্র ১৯কেজি। হাতে করেই আপনি এটি বহন করতে পারবেন। হন্ডার জানিয়েছে যে, শহরে যাতায়াত করার জন্য এমন একটি ইলেকট্রিক স্কুটারই যথার্থ। সংস্থাটি আরও জানিয়েছে যে, একজন ব্যক্তির হাঁটার গতির অন্তত তিনগুণ বেশি গতিতে দৌড়াতে পারে মটোকম্প্যাক্টো ইলেকট্রিক স্কুটারটি। মাত্র ৭ সেকেন্ডের মধ্যে ই-স্কুটারটি তার সর্বাধিক স্পিডও ছুঁতে পারে। তবে এর সিট ক্যাপাসিটি মাত্র একটাই ১২০ কেজি পর্যন্ত ওজন বহন করতে সক্ষম স্কুটারটি।
এই ফোল্ডেবল ইলেকট্রিক স্কুটারে ফ্রন্ট-হুইল মোটরও রয়েছে। সেই মোটর ০.৬ বিএইচপি পাওয়ার ও ১৬এনএম পিক টর্ক দিতে পারে। ইলেকট্রিক স্কুটারটি ওয়াটার রেজিস্ট্যান্স ফিচারও অফার করছে। আরও রয়েছে একটি ৬.৮ এএইচ ব্যাটারি প্যাক, যা এক চার্জে ২০ কিলোমিটার পর্যন্ত এটি রেঞ্জ দিতে পারে। তবে স্কুটারটিকে চার্জ করতে গেলে আপনাকে প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা সময় দিতে হবে। সাধারণ ১১০ ভোল্ট চার্জিং সকেটের সাহায্যেই এই স্কুটারটি চার্জ করা যাবে বলে সংস্থার পক্ষ হতে জানানো হয়।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org