দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ টাকার বৃষ্টির খবর সাধারণ শোনা যায় না। তবে এবার তাই শোনা গেলো। আকাশ থেকে ‘টাকার বৃষ্টি’তে টাকা কুড়োতে হুড়োহুড়ি পড়েছে সাধারণ মানুষদের মধ্যে। এমনই এক অদ্ভুত দৃশ্য দেখা গেছে চেক প্রজাতন্ত্রের লাইসা নাদ লাবেম শহরে!
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, আকাশ থেকে টাকা ওড়ানোর এমন অদ্ভূত কাণ্ডটি ঘটিয়েছেন নেট দুনিয়ায় প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব তথা চেক প্রজাতন্ত্রের বিখ্যাত সঞ্চালক কামিল বার্তোশেক। বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ১১ কোটি টাকার নোট তিনি হেলিকপ্টার থেকে মাটিতে ছুঁড়ে দিয়েছেন। এদিকে সেই টাকা কু়ড়োতে রীতিমতো ভিড় জমে যায় জনগণের মধ্যে। পুরো ঘটনাটির একটি ভিডিও ইতিমধ্যেই নেট দুনিয়ায় প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও ঘটনাটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে, হেলিকপ্টারে করে টাকা ভর্তি একটি বড় লোহার বাক্স হেলিকপ্টারে বেঁধে যাত্রা শুরু করেন কামিল বার্তোশেক। লাইসা নাদ লাবেম শহরের কাছে একটি ফাঁকা জায়গা দেখে তিনি ওই টাকা উড়িয়ে দেন। নোটগুলো বৃষ্টির মতো আকাশ থেকে মাটিতে ঝরে পড়ে ওই টাকা। টাকা উড়তে দেখে সঙ্গে সঙ্গে ওই জায়গায় অগুণতি মানুষের ভিড় জমে যায়। টাকা কুড়োতে রীতিমতো হুড়োহুড়ি শুরু করেন তারা। কামিল নিজের ইনস্টাগ্রাম থেকে নিজেই সেই ভিডিওটি পোস্ট করেছেন। ইনস্টাগ্রামে কামিল লিখেছেন, ‘‘এটি পৃথিবীর প্রথম সত্যিকারের টাকার বৃষ্টি! একটি হেলিকপ্টারে করে ১০ লক্ষ ডলার উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে সেই অর্থ সংগ্রহ করতে এসে কেও আহত হননি কিংবা মারাও যাননি।’’
কামিল জানিয়েছেন যে, তিনি একটি জনগণের উদ্দেশে একটি ধাঁধা প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। সেই প্রতিযোগিতার বিজয়ীর হাতে ওই টাকাগুলো তুলে দেওয়ার কথা ছিল। তবে কেও ওই ধাঁধার সমাধান করতে না পারায়, সেই টাকাগুলো বিলিয়ে দেওয়ার জন্য তিনি ওই বিকল্প ব্যবস্থা করেন কামিল বার্তোশেক। যারা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন, তাদের ডেকে আকাশ থেকে টাকা উড়িয়ে দিয়েছেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org