দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ‘সিম কার্ড বাইন্ডিং ফিচার’ নামের নতুন উদ্যোগের মাধ্যমে ইমো ব্যবহার করা যাবে। নতুন ইমো ব্যবহারকারীকে নিজস্ব সিম কার্ড নাম্বার দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।
বর্তমানে যারা ইমো ব্যবহার করছেন তারা সিকিউরিটি অপশনে গেলেই এই ফিচারটি চালু করতে পারবেন। নতুন ফিচার চালু করলে ওই নির্দিষ্ট সিম কার্ড নাম্বার ছাড়া অন্য কোনো নম্বর দিয়ে অন্য কেও অ্যাকাউন্টে ঢুকতেও পারবেন না। এমনকি ওটিপি শেয়ার করে হ্যাক করাও বর্তমানে অসম্ভব হয়ে যাবে। ইমো এমনিতেও ভালনারেবল হ্যাকিং- এর ক্ষেত্রে। এবার অন্তত এই দুশ্চিন্তাটি দূর হচ্ছে।
সাধারণভাবে হ্যাকাররা ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড এবং ওটিপি দিয়ে ব্যবহারকারীর ক্ষতি করার চেষ্টা করে। এই ফিচারের মধ্যদিয়ে অন্য যে কোনো ডিভাইস থেকে তাদের অন্য অ্যাকাউন্টে লগইন করার ঝুঁকিও কমিয়ে আনা সম্ভব। ব্যবহারকারীরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী এই ফিচারটি এনাবল কিংবা ডিজ্যাবল করে রাখার সুযোগও পাবেন। শুধু সিম কার্ড বাইন্ডিং ফিচার নয়, সামনে আরও বেশকিছু চমকপ্রদ ফিচার নিয়ে আসছে ইমো। যারমধ্যে খুব শীঘ্রই চালু হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে ‘পাসকিস ফিচার।’
এক বিজ্ঞপ্তিতে ইমো জানিয়েছে যে, সাইবার নিরাপত্তার জোরদারের অংশ হিসেবেই ইমো ব্যবহারকারীদের দুই স্তরের ভেরিফিকেশন ব্যবহারের ক্রমাগত উৎসাহিতও করে যাচ্ছে। তাছাড়াও ব্যবহারকারীরা অপরিচিত ব্যক্তিদের সঙ্গে ওটিপি (ওয়ান টাইপ পাসওয়ার্ড) যেনো শেয়ার না করেন, বিষয়টি নিয়েও ইমোর পক্ষ থেকে ব্যবহারকারীদের ধারাবাহিকভাবে সচেতন করা হচ্ছে। বিশেষ করে অন্য কোনো ডিভাইস হতে লগইন করার ক্ষেত্রে দুই স্তরের ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া আরেকটি অতিরিক্ত নিরাপত্তার স্তরের মধ্যদিয়ে ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্টকে আরও বেশি নিরাপদ রাখতে সহায়তা করে থাকে।
সেইসঙ্গে এই নিরাপত্তাকে আরও বেশি জোরদার করতে তাদের ওটিপি ব্যক্তিগত রাখতেও বলা হয়। অপরিচিত কারও সঙ্গে ওটিপি শেয়ার করাকে প্রোফাইল হ্যাক হওয়ার পেছনে প্রাথমিক কারণ হিসেবেও চিহ্নিত করা হয়। তাই কারও সঙ্গে কখনই নিজের ওটিপি কখনও শেয়ার করা যাবে না। ইমো অ্যাকাউন্ট নিরাপদ ডিভাইসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার ক্ষেত্রেও ডিভাইস ম্যানেজমেন্ট এবং মাল্টি-ডিভাইস ম্যানেজমেন্ট ফিচার চালু করতে হবে। এতে করে কোন কোন ডিভাইসে অ্যাকাউন্টটিই ব্যবহৃত হচ্ছে তা বুঝতে পারবেন ব্যবহারকারী ও সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনার সুযোগও পাবেন, যা ব্যবহারকারীদের স্বাচ্ছন্দ্যে নিজের নিয়ন্ত্রণে অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের ভূমিকাও রাখবে। তথ্যসূত্র : টেকক্রাঞ্চ।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org