দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নির্মাণাধীন একটি টানেল ধসে পড়েছে ভারতে। দেশটির উত্তরাখণ্ডে গতকাল (রবিবার) এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এতে অন্তত ৩৬ জন নির্মাণ শ্রমিক টানেলের ভেতরে আটকে পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। টানেল খুলে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ভোর ৪টার দিকে সাড়ে চার কিলোমিটার দীর্ঘ এই টানেলের ১৫০ মিটার দীর্ঘ অংশ ধসে পড়লে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
এই দুর্ঘটনায় স্থানীয় জেলা প্রশাসন সতর্কতা জারি করেছে। উত্তরকাশীর পুলিশ সুপার অর্পণ যদুবংশী ঘটনাস্থল পৌঁছেছেন। পুলিশ এবং রাজ্য বিপর্যয় ত্রাণ বাহিনী (এসডিআরএফ) উদ্ধারকাজের পরিচালনা করছে।
খবরে বলা হয়, এই দুর্ঘটনায় ৩৬ জন নির্মাণ শ্রমিক আটকা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, টানেলটি খুলতে স্ল্যাবের অন্তত ২০০ মিটার পরিষ্কার করতে হবে। টানেলে একটি অক্সিজেন পাইপ ঢোকানোর জন্য ও আটকে পড়া শ্রমিকদের সাহায্য করার জন্য একটি সরু সুড়ঙ্গের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। তবে শ্রমিকদের ভাগ্যে কি ঘটেছে তা এখনও জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, এই টানেলটি উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীর দান্দলগাঁও থেকে সিল্কিয়ারাকে সংযুক্ত করার জন্য নির্মাণ করা হচ্ছিল। এটি নির্মাণের কারণে দুই অংশের মধ্যে দূরত্ব প্রায় ২৬ কিলোমিটার মতো কমে আসবে। খবর এনডিটিভির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org