দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফটোশপের নির্মাতা কোম্পানি অ্যাডোবি এমন ভবিষ্যৎ-বান্ধব ‘ডিজিটাল পোশাক’ উন্মোচন করলো, যেখানে কেবল একটি বাটনে ক্লিক করার মাধ্যমে এর পৃষ্ঠে থাকা বিভিন্ন ‘প্যাটার্ন’ বদলাতে পারবেন পরিধানকারীরা!
ব্রিটিশ সংবাদপত্র ইন্ডিপেন্ডেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘প্রজেক্ট প্রিমরোজ’ নামে প্রকল্পের অধীনে পুঁতির তৈরি পোশাকটি তৈরি করেছে অ্যাডোবি। তরলকৃত ক্রিস্টালের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে এর ‘রিফ্লেক্টিভ লাইট- ডিফিউজার মডিউল’। সাধারণত স্মার্ট লাইটিং ব্যবস্থায় এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। এর পুঁতিগুলো প্রকৃতপক্ষে একেকটি ছোট স্ক্রিন, যেখানে স্মার্ট কাঁচামাল ব্যবহৃত হয়েছে।
সম্প্রতি অ্যাডোবি’র আয়োজিত ‘ম্যাক্স’ সম্মেলনে দর্শকদের এই পোশাকের প্রথম ঝলক দেখানো হলো। একে ‘প্রাণবন্ত ফেব্রিক’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন সফটওয়্যার কোম্পানিটি। ফিতাবিহীন পোশাকটি পরে সবার সামনেই এসেছেন অ্যাডোবির গবেষক ক্রিস্টিন ডিয়ের্ক। প্রথম ঝলকেই একে সাধারণ ‘ককটেল ড্রেসের’ মতোই দেখালেও রিমোটের বাটনে চাপ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এর স্তরগুলো তখন বদলাতে থাকে। ‘গতানুগতিক পোশাকের মতোই এটি স্থির নয়। কয়েক মুহূর্তের জন্য আমার লুক সতেজ করার সুযোগও দিয়েছে প্রিমরোজ। এর রং মুহূর্তেই উজ্জ্বল থেকে আবার কালো হতে পারে’ সেটির নমুনা দেখানোর সময় এই কথাগুলো বলেন অ্যাডোবি’র ওই বিজ্ঞানী।
তিনি আরও বলেন- ‘নতুন ধাঁচের এই পোশাকে ব্যবহৃত হয়েছে প্রতিফলনযোগ্য ‘পলিমার-ডিস্পার্সড লিকুইড ক্রিস্টাল’ কিংবা ‘পিডিএলসি’ নামে উপাদান, যেটি সাধারণত ‘স্মার্ট উইন্ডো’তে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই উপাদান নিজেকে যে কোনো আকারে ঢেলে সাজানোর সঙ্গেসঙ্গে আলো নিয়েও খেলতে পারে। ডিজাইনাররা ক্লোদিং, ফার্নিচার এমনকি অন্যান্য ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারেন, যা ফ্যাশন জগতে এক অপার সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে। যারমধ্যে রয়েছে নকশা ডাউনলোড করার এমনকি নিজ পছন্দের ডিজাইনারের সর্বশেষ নকশা ব্যবহারের সুবিধাও থাকছে। আমরা আশা করি যে, এই কাজ ফ্লেক্সিবল ডিসপ্লে নিয়ে কাজ করা ডিজাইনারদের ভবিষ্যতে আরও অনুপ্রাণিত করবে।’
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org