দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাবা-মায়ের ডায়াবেটিক থাকলে রাতে ৩টি অভ্যাসে বদল না আনলে ঝুঁকি বাড়বে আপনারও। তাহলে আজ জেনে নিন কী সেই ৩টি অভ্যাস?
ডায়াবেটিস রুখতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস তৈরি করাটাও কিন্তু ভীষণভাবে জরুরি। রাতের এমন কিছু অভ্যাস রয়েছে, যা অজান্তেই রক্তে শর্করার মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। জেনে নিন ডায়াবিটিসের ঝুঁকি এ়ড়াতে রাতে কোন কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।
পরিবারে কারও ডায়াবেটিস থাকলে আপনারও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। পরিবারের যদি এক কিংবা একাধিক জন ডায়াবেটিক থাকে, সেই ক্ষেত্রে বাকি সদস্যদেরও উচিত আগাম সতর্কতা গ্রহণ করা। দেহের ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি থাকলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি একটু বেশিই থাকে। নিয়মিত শরীরচর্চা, সাঁতার কাটা কিংবা সাইকেল চালানোর মতো অভ্যাসগুলো চালিয়ে যেতে পারলে ভালো হয়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস তৈরি করাও ভীষণভাবে জরুরি। রাতের এমন কিছু অভ্যাস রয়েছে, যা অজান্তেই রক্তে শর্করার মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। জেনে নিন ডায়াবেটিসের ঝুঁকি এ়ড়াতে রাতে কোন কাজগুলো না করাই ভালো।
# রাত জাগার অভ্যাস কিন্তু ডায়াবেটিসের অন্যতম কারণ। রাত জাগার সময় খিদে পেলেই ফ্রিজ খুলে চকোলেট, আইসক্রিম কিংবা চিপ্সের দিকে নজর পড়ে যায়। এইসব খেলেই রক্তের শর্করার মাত্রা আরও বেড়ে যায়। কাজের সূত্রে যদি রাত জাগতে হয়, তাহলে খিদে পেলে ড্রাই ফ্রুট্স কিংবা মাখানার মতো স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস বেছে নিতে হবে।
# অনেকের আবার রাত জেগে ওয়েব সিরিজ়, সিনেমা দেখার অভ্যাসও রয়েছে। রাতে সময় মতো ঘুম না হওয়া ও সকালে অফিসের কারণে তাড়াতাড়ি উঠে পড়া- সে কারণে ঘুম সম্পূর্ণ হয় না। ঘুম না হলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়েও যেতে পারে।
# মানসিক চাপ হলো ডায়াবেটিসের অন্যতম একটি কারণ। মানসিক চাপের কারণেও অনেকের ঘুম হতে চায় না। তাই রাতে শোয়ার আগে মিনিট দশেক প্রাণায়াম, ধ্যান, যোগাসন করে নিতে পারেন। মন মেজাজ ভালো রাখতে রাতে খানিকটা সময় বরাদ্দ করা দরকার। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org