দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এবার দিয়ে পঞ্চমবারের মতো শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেলেন অভিনেত্রী জয়া আহসান। তিনি ‘বিউটি সার্কাস’ সিনেমার জন্য এই পুরস্কার পেলেন।
গতকাল (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় ২০২২ সালে মুক্তি পাওয়া ইমপ্রেস টেলিফিল্ম প্রযোজিত মাহমুদ দিদার পরিচালিত ‘বিউটি সার্কাস’ এর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন অভিনেত্রী জয়া আহসান।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, পুরস্কার গ্রহণের পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে জয়া আহসান বলেছেন, এটি নিয়ে ৫ম বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেলাম। প্রতিবারই আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে পুরস্কার নিয়েছি, এটিই আমার পরম সৌভাগ্য। তিনি সিনেমাটি দেখেছেনও। পুরস্কার দেওয়ার সময় তিনি আমাকে বলেছেন যে,‘তোমার চরিত্রটির জন্য পুরস্কারটি দিতে পেরেছি, সেজন্য খুব ভালো লাগছে আমার।’
জয়া আরও বলেন, ‘বিউটি সার্কাস’ এ অভিনয় করার অন্যতম কারণই হলো আমার চরিত্রটি ছিল অসম্ভব চ্যালেঞ্জিং। কোনো স্টান্টম্যান ব্যবহার না করে সবগুলো সার্কাসের খেলা আমি নিজেই করেছি। ইনজুর্ড হয়ে সেজন্য দীর্ঘদিন অসুস্থও থাকতে হয়েছে আমাকে। আমার হাতে যখন এই সম্মাননাটা হাতে উঠে এলো, সেই কষ্ট আর কষ্টই মনে হচ্ছে না।
প্রথমবার জয়া ২০১১ সালে মুক্তি পাওয়া ইমপ্রেস টেলিফিল্ম প্রযোজিত নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চুর ‘গেরিলা’র জন্য জাতীয় পুরস্কার পান।
এরপর রেদওয়ান রনি পরিচালিত ‘চোরাবালি’ (২০১২), অনিমেষ আইচ পরিচালিত ‘জিরো ডিগ্রী’ (২০১৫) ও অনম বিশ্বাস পরিচালিত ‘দেবী’ (২০১৮) এর জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জয়া জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org