দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জনপ্রিয় ইউটিউবার জিমি ডোনাল্ডসন ওরফে ‘মিস্টার বিস্ট’ এর নাম হয়তো শুনেছেন অনেকেই। তিনি দর্শকদের আকর্ষণ বাড়াতে কোটি টাকার পুরষ্কার ও বিভিন্ন রকমের চমকপ্রদ ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করেন।
এবার সবাইকে চমকে দিতে কফিনবন্দী হয়ে মাটির নিচে ৭ দিন কাটিয়েছেন এই মার্কিন ইউটিউবার। প্রশ্ন উঠেছে যে, তার পরেও তিনি জীবিত থাকলেন কীকরে?
ঘটনার বিস্তারিত সম্পর্কে বলা হয়, ২৫ বছর বয়সী জিমির কফিনের ঢাকনা ছিল স্বচ্ছ। ভেতরে ছিল পানি এবং হিমায়িত শুকনা খাবার। তার নিরাপত্তা নিশ্চিতে এবং প্রতিক্রিয়া রেকর্ড করার জন্য সেখানে ছিল ক্যামেরা। কফিনে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থাও রাখা হয়। সেখান থেকে জিমি তার বন্ধুদের সঙ্গে ও মাটির ওপরে থাকা তার সহযোগীদের সঙ্গে কথা বলতে পারতেন। এমনকি সেখানে তার নড়াচড়ার জন্য পর্যাপ্ত জায়গাও রাখা হয়। এতে কিছুটা সোজা হয়ে তিনি বসতেও পারতেন। তবে দাঁড়ানোর কোনো সুযোগই ছিল না। তার কফিনের ওপর ঢালা হয়েছিল ২০ হাজার পাউন্ড মাটি!
জিমির ইউটিউবে ভক্ত সংখ্যা হলো ২১ কোটি ২০ লাখ। জীবন্ত ৭ দিন মাটির নিচে থাকার কারণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিস্টার বিস্টের জনপ্রিয়তা আরও বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যায়, নির্বিঘ্নে কফিনে ৭ দিন কাটিয়েছেন বিস্ট। কোনো রকম অসুবিধার মুখেই পড়তে হয়নি তাকে। যখন জিমিসহ কফিন মাটির নিচে রাখা হয়েছিলো, সেই সময়কার অনুভূতি সম্পর্কে তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি ৭ দিনের জন্য নিজেকে এই কফিনে সমর্পণ করেছিলাম।’
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org