দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পিনাট বাটারে ভালো মাত্রায় প্রোটিন এবং ফাইবার থাকে, যে কারণে পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে, আর তখন অন্য খাবার খাওয়ার ইচ্ছে কমে যায়। তাই এটি ওজন ঝরাতে কাজে আসে।
আমরা হয়তো অনেকেই জানি না মাখন খেয়েই ঝরানো যায় ওজন। শুনতে অবাক লাগতেই পারে। অবশ্য সাধারণ মাখন নয়, ওজন ঝরানোর ডায়েটে পুষ্টিবিদরা পিনাট বাটার রাখার কথা বলে থাকেন। এই মাখনে রয়েছে ট্রিপটোফান যৌগ, যা ক্যালোরি ঝরাতেও সাহায্য করে। পিনাট বাটারে ভালো মাত্রায় প্রোটিন এবং ফাইবার থাকে, যে কারণে পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে, আর তখন অন্য খাবার খাওয়ার ইচ্ছে কমে যায়। ওজন ঝরানোর ডায়েটে তাহলে কীভাবে রাখবেন এই পিনাট বাটার? আজ জেনে নিন সেটি।
# ইচ্ছে করলে কলার সঙ্গে খেতে পারেন পিনাট বাটার। কলায় রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম ও পটাশিয়াম যা ট্রিপটোফানের সঙ্গে মিশে আরও তাড়াতাড়ি ওজন কমাতে সাহায্য করে। পিনাট বাটার ফাইবার ও প্রোটিনে ভরপুর থাকে ফাইবার যা হজমে সাহায্য করে। সকালের নাস্তায় এই খাবার খাওয়া যেতে পারে।
# ইচ্ছে করলে প্রাতরাশে ওট্সের সঙ্গে মিশিয়েও পিনাট বাটার খেতে পারেন। তবে যারা ওজন ঝরাতে চাইছেন, তাদের জন্য ওট্স-দুধ ও পিনাট বাটার খুব ভালো নাস্তা হতে পারে। চাইলে ওট্স, কলা ও পিনাট বাটার দিয়ে তৈরি স্মুদিও স্বাস্থ্যকর প্রাতরাশ হতে পারে।
# অফিসে থাকাকালে বিকেলের দিকে খিদে পেলে ভাজাভুজি, রোল, চাউমিনের পরিবর্তে ভরসা রাখতে পারেন এই মাখনে। ইচ্ছে করলে আপেলের সঙ্গেও খেতে পারেন পিনাট বাটার। বিকেলের হালকা খিদের জন্য বেশ স্বাস্থ্যকর একটি খাবার।
পিনাট বাটার খাওয়ার সময় কোন ভুলগুলো এড়িয়ে চলতে হবে?
# যে পিনাট বাটারে লবণ থাকে, সেটি এড়িয়ে চলুন। বেশি মাত্রায় লবণ শরীরে গেলে শরীরে বেশি মাত্রায় পানি জমতে থাকে। যে কারণে ওজন আরও বেড়ে যায়। তাই কেনার সময় সতর্ক হোন।
# স্বাস্থ্যকর বলে আইসক্রিম কিংবা চকোলেট জাতীয় খাবারের সঙ্গে পিনাট বাটার কিন্তু ভুলেও খাবেন না। খেতে সুস্বাদু হলেও আখেরে শরীরের ক্ষতিই বেশি করবে।
# কোনও কিছুই বেশি মাত্রায় খাওয়া মোটেও ভালো নয়। পিনাট বাটার খেতে সুস্বাদু বলে প্রাতরাশ থেকে শুরু করে বিকেলের নাস্তা, নানা সময় এই মাখন খেয়ে ফেললে কিন্তু চলবে না। এতে ওজন তো কমবেই না উল্টো, বেড়ে যেতে পারে। ওজন কমাতে চাইলে দিনে এক-দু’চামচের বেশি এই মাখনটি খাওয়া যাবে না। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org