দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দ্বিতীয় দফা যুদ্ধবিরতির বৈঠকে অংশগ্রহণ করার জন্য মিসর যাচ্ছেন হামাসের চেয়ারম্যান এবং রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া।
আজ বুধবার (২০ ডিসেম্বর) তিনি কাতার থেকে মিসরের রাজধানী কায়রোর উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা।
সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ইসমাইল হানিয়ার নেতৃত্বে কায়রোতে হামাসের একটি উচ্চপর্যায়ে প্রতিনিধিদল এই বৈঠকে অংশ নেবে। বৈঠকে মিসরের রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান আব্বাস কামেলসহ দেশটির উচ্চপর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকার কথাও রয়েছে।
যে বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে
মিসরের একটি সূত্রের বরাতে জানা যায়, (ক) গাজায় আগ্রাসন এবং অভিযান বন্ধ করা, (খ) ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তি ও (গ) উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর গত ১৫ বছরের অবরোধের অবসান, (খ) হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্তি- এই চারটি ইস্যুতে আলোচনা হবে এই বৈঠকে।
গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ভোট এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো স্থগিত হয়েছে। স্থানীয় সময় (মঙ্গলবার) এই ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। গাজায় সংঘাত বন্ধের লক্ষ্যে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ভোট সোমবার প্রথম দফায় স্থগিত করা হয়।
তারপর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের খসড়া রেজুলেশনের ওপর ভোটাভুটি গত মঙ্গলবার দ্বিতীয়বারের মতো স্থগিত হয়ে যায়। ইতিপূর্বে গত ৮ ডিসেম্বর গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি হয়েছিলো। তবে তাতে ভেটো দিয়েছিলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেই ভেটোর পর গাজায় আরও বেশি আগ্রাসন চালাতে শুরু করে দেয় ইসরায়েল।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org