দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক॥ মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে যুবক কিংবা যুবতী সব ক্ষেত্রেই ফেসবুক ব্যবহারকারীরা ব্যাক্তিগত ভাবে হীনমন্যতায় ভোগেন। এই গবেষণায় দেখা গেছে ফেসবুক কিভাবে দ্রুত মানুষের আচরণ পরিবর্তন করছে।
ফেসবুক ব্যবহারকারীদের উপর চালানো এই গবেষণা চলে টানা দুই সপ্তাহ ব্যাপী এখানে দেখানো হয় ফেসবুক ব্যবহার কিভাবে একজন মানুষের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।
বর্তমানে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা এক বিলিয়নেরও বেশী এবং এর মাঝে অর্ধেকের বেশী ব্যবহারকারী প্রতিদিন ফেসবুকে লগ ইন করে। প্রতি মুহূর্তে শত শত বন্ধুর সর্বশেষ অবস্থা জানার জন্য যে যখন পারছে চট করে ফেসবুকে ঢুঁ মারছে। অনেকেরই অভ্যাস ফেসবুকে রাত কাটিয়ে দেয়া। এ সকল কারণেই অনেকের মাঝে তৈরি হয় বিষণ্ণতা সাথে নিজের উপর হীনমন্যতা!
ইন্টারনেট সাইকোলজিস্ট গ্রাহাম জোন্স বলেন, “এটা সত্যি যে অন্য অনেক গবেষণায় ফেসবুকের অনেক উপকারী দিক উঠে এলেও এর অনেক ক্ষতিকর দিকও রয়েছে।“
গবেষণায় পাওয়া নিসঙ্গতার সাথে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের সম্পর্কঃ গবেষণায় দেখা গেছে ফেসবুক ব্যবহারের পর স্বাভাবিক ভাবে সময় কাটানোটা অনেকের ক্ষেত্রেই সম্ভব হয়না ফলে তাঁরা যখনই ফেসবুকের বাইরে থাকেন তখন অনেকটা নিঃসঙ্গ সময় কাটান, অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায় ফেসবুক ব্যবহার এবং ভার্চুয়াল বন্ধুরাই তাঁদের জীবনের বেশীরভাগ অংশ জুড়ে অবস্থান করেন। ফলে ফেসবুকের বাইরে বাস্তব জীবনের বিষয়ে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা অনেকটা উদাসীন থাকেন এতে করে তাঁরা বাস্তব জীবনে অনেকটা নিঃসঙ্গ সময় কাটান।
এদিকে গবেষকরা উদ্বেগের সাথে দেখেন ফেসবুক ব্যবহারকারীরা যত বেশী এই সাইট ব্যবহার করেন তাঁদের নিজেদের জীবনের বিষয়ে আত্মনির্ভরশীলতা অনেক অংশে কমে যায় তাঁরা নিজেদের ক্ষেত্রে বাস্তব জীবনে অনেকটাই হীনমন্যতায় ভগেন।
গবেষণায় দেখা যায় এখানে বেশীরভাগ ব্যবহারকারী বলেছেন তাঁরা ফেসবুক ব্যবহার করেন তাঁদের বন্ধুদের সাথে সংযুক্ত থাকতে অপরদিকে ২৩% বলেছেন তাঁরা কেবল নতুন বন্ধু আবিষ্কার করতেই ফেসবুক ব্যবহার করছেন। নিজের বিষয়ে ফেসবুক ওয়ালে শেয়ার করা বিষয় বস্তুর ক্ষেত্রে বেশীর ভাগ ব্যবহারকারী প্রায় ৩৭% জানিয়েছেন তাঁরা নিজেদের খারাপ লাগা বিষয়ই বেশী শেয়ার করে থাকেন ফেসবুকে।
এদিকে গ্রাহাম জোন্স বলেন, “ এই গবেষণায় পাওয়া ফলাফল নিয়ে চিন্তিত না হতে, কারণ এখানে যাদের ক্ষেত্রে জরিপ চালানো হয়েছে তাঁদের বেশীরভাগ ব্যবহারকারী অতিমাত্রায় ফেসবুক ব্যবহারে আসক্ত, অপর দিকে ফেসবুকে বৃহৎ একটি অংশ রয়েছে যারা ফেসবুকে প্রয়োজনীয় সময় কাটান ফলে এখানে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই বলেও তিনি মত দেন।
সূত্র: বিবিসি