দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নিরাপত্তা ইস্যুতে আজ (রবিবার) ফেসবুকের দুই কর্মকর্তার সঙ্গে দুই ঘণ্টার আলোচনায় ফেসবুক পোস্ট নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা চায় সরকার। তিন মন্ত্রীর সঙ্গে আজ এই বৈঠক হয়।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, নিরাপত্তার সার্থে বাংলাদেশের ফেসবুক ব্যবহারকারীদের পোস্ট তদারকি করার ক্ষমতা চাচ্ছে সরকার। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন-বিটিআরসিকে এই ক্ষমতা দিতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ সফররত ফেসবুক প্রতিনিধিদল তাৎক্ষণিক কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারেননি। তারা বিষয়টি উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করে জানাবেন বলে জানিয়েছেন। আজকের এই বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, টেলিকম প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এবং তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকও উপস্থিত ছিলেন।
একটি সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ মাধ্যম এক খবরে বলছে, ‘বাংলাদেশ ফেসবুকের অ্যাডমিন চায়। সেজন্য বাংলাদেশে পৃথক একটি সার্ভার স্থাপনের কথা বলা হয়েছে। যাতে করে সব ধরনের পোস্ট আপ হবার আগেই বাংলাদেশ থেকে তদারকি করা যায়।
তবে ফেসবুকের ভারতীয় ওই দুই প্রতিনিধি তাৎক্ষণিক কোনো উত্তর দিতে পারেননি। উচ্চ পর্যায়ে কথা বলে তারা জানাবেন।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে আরও বলা হয়েছে, প্রয়োজনে ফেসবুকের সঙ্গে এই সংক্রান্ত সমঝোতা চুক্তিও করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে সরকার। কিন্তু নিরাপত্তা ইস্যুতে কোন ছাড় নয়। তাই তাৎক্ষণিকভাবে ফেসবুক খুলে দেওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। খুব শীঘ্রই বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যলয়ে একটি বৈঠক হতে পারে। এছাড়াও বৈঠক হবে বিটিআরসির সঙ্গেও। তারপরই হয়তো সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে সংবাদ মাধ্যমের ওই খবরে উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, নিরাপত্তা ইস্যুতে ১১ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশে জনপ্রিয় এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক বন্ধ রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি বন্ধ থাকায় দেশের প্রায় ১১ হাজার ই-কমার্স ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বাংলাদেশে বর্তমানে ফেসবুক ব্যবহারকারী সংখ্যা ১ কোটি ৭০ লাখ।