হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে নিয়ম করে কোন ফল খাবেন

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এই শীতে শরীর সুস্থ রাখতে ভরসা রাখতেই পারেন বেদানার উপরে। প্রতিদিন বেদানা খেলে শরীরে ভিটামিন, ফাইবার, ফলিক অ্যাসিডের ঘাটতিও পূরণ হয়।

আমরা সবাই জানি শীতকাল যেমন উৎসবের ঋতু, তেমনি শীতকালে সুস্থ থাকতে দরকার বাড়তি সচেতনতার। শীতে সংক্রমিত হতে খুব বেশি সময়ও লাগে না। এই সময় শরীর চাঙ্গা রাখতে প্রচুর মৌসুমি ফল খেতে বলেন চিকিৎসকরা। এই সময় বাজারে হরেক ধরনের মৌসুমি ফল পাওয়া যায়। তবে শীতে শরীর সুস্থ রাখতে ভরসা রাখতে পারেন বেদানার উপর। প্রতিদিন বেদানা খেলে শরীরে ভিটামিন, ফাইবার, ফলিক অ্যাসিডের ঘাটতিও পূরণ হবে। তবে বেদানা আরও বিভিন্নভাবে শরীরের যত্ন নিতে পারে।

# আপনি যদি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তাহলে কম ক্যালোরির খাবার খেতে হবে। ১০০ গ্রাম বেদানাতে ক্যালোরির পরিমাণ মাত্র ৮৩। তাই টুকটাক মুখ চালানোর জন্য এই ফলটি রাখা যেতেই পারে। হালকা খিদে পেলে এই খাবারেও ভরসা রাখতে পারেন।

Related Post

# শীতকাল এলেই পার্টি, পিকনিক, বিয়েবাড়ি লেগেই থাকে। তাই পেট ভালো রাখতে বেদানা বেছে নিতে পারেন। এই ফলটিতে ফাইবারের পরিমাণ অনেকটা বেশি। অন্ত্র এই ফাইবার থেকে পুষ্টিগুণ শোষণ করে। বেদানা খেলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভর্তিও থাকে।

# আবার শুধুমাত্র ওজন ঝরাতেই নয়, সার্বিক সুস্থতার জন্য অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টও গুরুত্বপূর্ণ। বেদানায় পলিফেনল ও ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টও রয়েছে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় বেদানা রাখতে পারলে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রাও বৃদ্ধি পেতে শুরু করে দেবে। হৃদযন্ত্র ও মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে এই বেদানা।

# এদিকে ওজন ঝরাতে হলে বিপাকহার ভালো হওয়া দরকার। বেদানায় যে পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রয়েছে তা বিপাকহার উন্নত করতেও সাহায্য করে। বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, বেদানায় থাকা পলিফেনল বিপাকহারের উপর যথেষ্ট পরিমাণ প্রভাব ফেলে।

# অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ বেদানা শরীর হতে ক্ষতিকারক টক্সিন বের করে দিতে সক্ষম। যে কারণে ত্বকের অকালবার্ধক্য আটকাতে বেদানা খুবই উপকারী একটি জিনিস। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

This post was last modified on জানুয়ারী ১৮, ২০২৪ 2:36 অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

এক মার্কিন অভিনেতার মতে পুতিনই পৃথিবীর সবচেয়ে মহৎ নেতা!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পঞ্চমবারের মতো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিষেক ঘটলো ভ্লাদিমির পুতিনের। তার…

% দিন আগে

নারকেলের এই সারির মধ্যে একটি নারকেল মালা কাটা হয়েছে অসমানভাবে: খুঁজে বের করুন

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নারকেলের এই সারির মধ্যে একটি নারকেল মালা কাটা হয়েছে অসমানভাবে।…

% দিন আগে

ভারতের ঐতিহাসিক জাহানীয়া মসজিদ

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১…

% দিন আগে

রাতের খাবার না খেয়ে চিকন থাকার চেষ্টা: শরীরের পক্ষে এটি কী আদৌ ভালো?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকেই চিকন হওয়ার জন্য রাতের খাবার না খেয়ে থাকেন। কিন্তু…

% দিন আগে

শেয়ারট্রিপের মেগা ক্যাম্পেইন, শেয়ারট্রিপ পে’র মাধ্যমে জিতুন আকর্ষণীয় সব পুরস্কার

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ‘গরমে চরম ব্যাপার’ নামে আকর্ষণীয় সব পুরস্কারে ভরপুর এক মেগা…

% দিন আগে

ইরানি পরিচালকের ৮ বছরের কারাদণ্ড এবং চাবুক মারার নির্দেশ!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইরানের প্রশংসিত চলচ্চিত্র পরিচালক মোহাম্মদ রাসুলফকে ৮ বছরের কারাদণ্ড এবং…

% দিন আগে