দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সুদান ও দক্ষিণ সুদান সীমান্তে ভয়াবহ সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এতে নারী ও শিশুসহ ৫৪ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে জাতিসংঘের ২ কর্মকর্তা রয়েছেন বলে সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে।
উভয় দেশের মধ্যেই বিতর্কিত আবেই অঞ্চলে সহিংসতা এবং প্রাণহানির এই ঘটনাটি ঘটেছে। -খবর আরব নিউজ, বিবিসি এবং আল জাজিরার।
সংবাদ মাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুদান এবং দক্ষিণ সুদানের মধ্যে একটি বিতর্কিত অঞ্চলে হামলা ও সহিংসতায় কয়েক বহু লোক নিহত হয়েছে বলে জানা যায়।
সামগ্রিকভাবে গত সপ্তাহান্তে আবেই অঞ্চলে নারী ও শিশুসহ ৫৪ জন মারা গেছেন বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা গতকাল (সোমবার) জানিয়েছেন।
সুদান ও দক্ষিণ সুদান উভয়ই তাদের যৌথ সীমান্ত বরাবর তেলসমৃদ্ধ এই অঞ্চলের মালিকানা দাবি করে আসছে দীর্ঘদিন যাবত।
আবেইয়ের তথ্যমন্ত্রী বুলিস কোচ জানিয়েছেন যে, গত শনিবার দক্ষিণ সুদানের ওয়ারাপ রাজ্যের সশস্ত্র যুবকরা প্রতিবেশী আবেইতে হামলা চালিয়েছিলো।
সীমানা নিয়ে বিরোধে ২০২১ সাল থেকে এই ধরনের হামলা চলেছে এবং সর্বশেষ এই হামলাটি ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা। হামলায় নিহতদের পাশাপাশি আরও ৬৪ জন আহত হয়েছেন বলে জানা যায়।
এছাড়াও দক্ষিণ সুদানে সহিংসতায় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন। জানা যায়, নিহত শান্তিরক্ষী ঘানার সেনা সদস্য। গত শনিবার আবেই এলাকার ৩টি স্থানে সংঘর্ষের এই ঘটনাটি ঘটে। যে কারণে বহু মানুষ হতাহত হয় এবং সহিংসতায় আটকে পড়াদের নিরাপত্তা দিতে বেসামরিক লোকদের সরিয়ে নেওয়া হয়।
সুদানের তথ্যমন্ত্রী বুলিস কোচ বলেছেন যে, বর্তমান ভয়ানক নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে ব্যাপক ভীতি এবং আতঙ্ক তৈরি হয়েছে ও আমরা কারফিউ জারি করেছি।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org