দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মধ্যে অন্যতম হলো ফেসবুক। ফেসবুক ব্যবহারে অবশ্য তেমন কোনো কঠোর কোন নিয়ম নীতি নেই। অর্থাৎ যে কেও চাইলেই যে কারও নামে কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট কিংবা পেজ খুলতে পারেন।
যেহেতু অ্যাকাউন্ট খুলতে কোনো কাগজ পত্রের প্রয়োজন হয় না, তাই যে কেও এই কাজটি করতে পারেন। তবে এই সবের কারণে প্রতারণা অনেক বেড়ে গেছে। আমরা জানি ফেসবুকে অনেকের অ্যাকাউন্টের পাশে নীল একটি টিক চিহ্ন দেখা যায়। এটি হলো ব্লু ব্যাজ। বিশেষ করে বিশিষ্ট কোনো ব্যক্তি, কোনো ব্যাবসায়িক পেজ কিংবা কোম্পানির অ্যাকাউন্ট। তারকাখ্যাতি-সম্পন্ন ব্যক্তি, সেলিব্রিটি, সাংবাদিক, সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান এবং ব্র্যান্ডের অ্যাকাউন্ট কিংবা পেজেও এটি খেয়াল করবেন।
খুব বেশি ঝামেলা ছাড়াই আপনার অ্যাকাউন্টটি ভেরিফায়েডও করতে পারেন। সেজন্য প্রথমে অ্যাকাউন্টটির নাম ও প্রোফাইল পিকচার সঠিক হওয়া এবং সক্রিয়ও হতে হবে।
অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসা কিংবা প্রতিষ্ঠানটি কোনো নামি ও স্বীকৃত কোম্পানি হতে হবে। অ্যাকাউন্টের একটি বৈধ নথি থাকতে হবে, যা তার পরিচয় ও ব্যবসা কিংবা প্রতিষ্ঠানের বৈধতা প্রকাশ করবে। ব্লু টিকের জন্য আবেদন করতে, অ্যাকাউন্টের মালিককে ফেসবুকে একটি ফর্ম পূরণ করতে হবে ও প্রয়োজনীয় তথ্য আপলোড করতে হবে।
যেভাবে করবেন এই কাজটি
প্রথমেই আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গিয়ে সেটিংসে চলে যান। সেখান থেকে অ্যাবাউটে যেতে হবে। সেখান থেকে অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশনে যেতে হবে। এরপর রিকোয়েস্ট ভেরিফিকেশন অপশনটি দেখতে পাবেন, এতে ক্লিক করুন। এরপর আপনাকে একটি ফর্ম পূরণ করতে হবে, যাতে আপনার নাম, ব্যবসা কিংবা প্রতিষ্ঠানের নাম, ওয়েবসাইট, যোগাযোগের তথ্য ও অন্যান্য বিশদ বিবরণ দিতে হবে। আপনাকে অবশ্যই একটি বৈধ নথিও আপলোড করতে হবে, যা আপনার পরিচয় ও আপনার ব্যবসা কিংবা প্রতিষ্ঠানের প্রমাণপত্র। ফেসবুক আপনার আবেদন পর্যালোচনা করবে ও আপনি যোগ্য হলে তবেই আপনাকে একটি ব্লু টিক দেওয়া হবে। এভাবে আপনার ফেসবুক একাউন্টটি ভেরিফায়েড করতে পারবেন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org