দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পাকিস্তানের কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরা নির্বাচনে এ পর্যন্ত ৯২টি আসনেই জয়লাভ করেছে।
এদিকে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) অন্তর্বর্তীকালীন চেয়ারম্যান গহর আলী খান বলেছেন, পাকিস্তানের পরবর্তী কে প্রধানমন্ত্রী হবেন সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন দলটির প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান। গতকাল শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমকে তিনি এমন তথ্য দিয়েছেন। এই সময় নির্বাচনে পিটিআই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে বলেও দাবি করেছেন গহর খান।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে জাতীয় পরিষদের ১৭০টি আসনে জয় পেয়ে দলটি শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে বলে মনে করছেন গহর খান। তিনি বলেছেন যে, ‘পরবর্তী কে প্রধানমন্ত্রী হবেন তা ইমরান খান ঠিক করবেন। কারাগারে বা বাইরে যেখানেই থাকুন না কেনো তিনিই পিটিআইয়ের নেতা।’ খবর ডন’র।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, নির্বাচনে দেশটির জাতীয় পরিষদের ২৬৫ আসনের মধ্যে ১৭০টিতেই পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন বলে মনে করছেন গহর খান। তিনি বলেছেন যে, তাদের মধ্যে ৯৪ জনের জয়ের ঘোষণা পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) ইতিমধ্যেই দিয়েছে। এই বিষয়ে তাদের কাছে নির্বাচন কমিশনের জারিকৃত ফর্ম-৪৫ রয়েছে। এছাড়াও আরও ২২টি আসনে পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরা জয়ও পেয়েছেন। এইসব আসনে ফল পাল্টে তাদের হারিয়ে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের জাতীয় এবং প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনের ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে। গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ ফল এখনও প্রকাশই করা হয়নি। দেশটির নির্বাচন কমিশন ২৬৫টি আসনের মধ্যে ২৫৩টির ফল ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছে। এতে, জাতীয় পরিষদের ২৬৫টি আসনের মধ্যে পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৯২টি আসনে জয় পায়। নওয়াজ শরিফের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ৭১টি আসন, বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) প্রার্থীরা পেয়েছে ৫৪টি, জামিয়তে উলেমা-ই-ইসলাম (জেইউআই-এফ) ৩টি এবং অন্যান্যরা ৩৩টি আসনে জয় লাভ করেছেন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org