দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হারানো কোন কিছু খুঁজে পাওয়া যায় কম সময়ই। তবে যদি কখনওবা পাওয়া যায় তাহলে সেটি হয় আনন্দের। তার ওপর সমুদ্রে হারানো কোনো কিছু খুঁজে পেলে আনন্দে বাড়তি মাত্রা তো থাকেই।
সমুদ্রে হারানোর ৮ মাস পর সৈকতে পাওয়া গেলো মানিব্যাগ! এমনই এক ঘটনা ঘটেছে কানাডায়। সেখানকার ব্রিটিশ কলম্বিয়ার টোফিনোর কাছেই একটি প্রত্যন্ত দ্বীপে বাস করেন মার্সি ক্যালাওয়ার্ট নামে এক নারী। ওই নারী ৮ মাস আগে সমুদ্রে ঘুরতে গিয়ে মানিব্যাগ হারিয়ে ফেলেছিলেন। সম্প্রতি সৈকতে হাঁটতে গিয়ে হারানো মানিব্যাগটি আবার খুঁজে পেয়েছেন। ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে।
এনডিটিভি ওই তথ্যে জানিয়েছে, ২০২৩ সালের জুন মাসে নৌকায় চড়ে সমুদ্রে ঘুরতে গিয়েছিলেন তিনি। তবে তার কাঁধব্যাগের চেইন লাগাতে ভুলে যান। সেই সময় ব্যাগের ভেতর থেকে মানিব্যাগ পানিতে পড়ে গিয়েছিলো। সম্প্রতি সমুদ্র সৈকতে হাঁটার সময় একটি বস্তুতে হোঁচট খান ওই নারী। বস্তুটি তুলে দেখতে পান এটি তার সেই হারিয়ে যাওয়া মানিব্যাগ।
এ সম্পর্কে মার্সি ক্যালাওয়ার্ট বলেন, “এটি যখন হারিয়ে গিয়েছিলো, আমি খুঁজে পেতে চেষ্টাও করেছিলাম। তবে পাইনি। তবে ভাগ্যের নিশ্চয়ই অন্য পরিকল্পনা ছিল, সমুদ্র একটি অসাধারণ বিস্ময় ফিরিয়ে দিলো।”
তিনি আরও বলেন, “মানিব্যাগ ফিরে পেয়ে দেখি তার ভেতর নগদ টাকা-কার্ড সবই একেবারেই অক্ষত রয়েছে! এতে ২০ ডলার ছিল, সমুদ্রের গভীরে ৮ মাস কাটানোর পরও তা অক্ষত ছিলো।”
ওই অবিস্মরণীয় মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেন ওই নারী মার্সি। ভিডিওটি প্রকাশ পাওয়ার পর বহু মানুষ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org